ঢাকা থেকে চেন্নাই বিমানের সময়সূচি ও ভাড়া (২০২৪) সম্পর্কে বিস্তারিত | Rahul IT BD

ঢাকা থেকে চেন্নাই বিমানের সময়সূচি ও ভাড়া (২০২৪) সম্পর্কে বিস্তারিত

প্রিয় পাঠক আপনি কি ঢাকা থেকে চেন্নাই বিমানের সময়সূচি ও ভাড়া, সেই সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে ক্লিক করেছেন। কারণ এই সম্পর্কে আপনি এই পোস্টটিতে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত তথ্য পেয়ে থাকবেন। যা আপনার অনেক উপকারে আসবে।
ঢাকা থেকে চেন্নাই বিমানের সময়সূচি ও ভাড়া
তাই আপনি যদি ঢাকা থেকে চেন্নাই বিমানের সময়সূচি ও ভাড়া, সেই সম্পর্কে একেবারেই না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। তাই আর দেরি না করে আপনার সমস্যার সমাধান পেতে গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন এবং এই সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন।

ভূমিকাঃ

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা অনেকেই বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। যাতে করে আপনারা সমস্যার সমাধানের জন্য সঠিক তথ্য পেতে পারেন। এজন্য আপনাদের সমস্যার কথা চিন্তা করে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা।

যেটা আপনার সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারণ আজকের এই পোস্টটি এই সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক বেশি ইনফরমেটিভ। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন পাশাপাশি আপনি অনেক উপকৃত হবেন।

ঢাকা থেকে চেন্নাই বিমানের সময়সূচি ও ভাড়া (২০২৪) সম্পর্কে বিস্তারিত

বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই দূরত্ব কত
বর্তমানে যারা বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই যেতে চাচ্ছে তাদের মনে অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে বা জানার আগ্রহ থাকতে পারে বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই কত কিলোমিটার। যারা বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই যেতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকেই জানে না বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই কত কিলোমিটার এজন্য অনেকে গুগলে সার্চ করে থাকে।

আশা করি বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই কত কিলোমিটার সে সম্পর্কে আপনারা এখন সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই ১,৯৪৮.৯ কিলোমিটার অথবা ১,২১১.০ মাইল। আশা করি আপনারা বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই কত কিলোমিটার সে বিষয়ে জানতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই বিমানে যেতে কত সময় লাগে

যারা বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই জেনে নেওয়া প্রয়োজন বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই যেতে কত সময় লাগে। আবার যারা চেন্নাই যেতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকের জানা নেই বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই যেতে কত সময় লাগে এজন্য অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকে। 

তাই সবার সুবিধার্থে বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই যেতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই যেতে সর্বনিম্ন সময় লাগে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট মতো।

ঢাকা টু চেন্নাই বিমানের সময়সূচী

ঢাকা থেকে চেন্নাই রুটে বেশ কিছু বিমান চলাচল করে যেগুলো নাম আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি । এখন আমরা ঐ সকল বিমানগুলো থেকে বেশ কয়েকটি বিমানের ফ্লাইটের সময় সম্পর্কে জানব । তাহলে আমরা সঠিক সময়ে ফ্লাইট ধরতে পারবো এবং আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবো । নিচে ঢাকা থেকে চেন্নাই বিমানের সময়সূচি তুলে ধরা হলো ।

বিমানের নাম ছাড়ার সময়
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স রাত ৯ঃ১০ মিনিট
এয়ার ইন্ডিয়া দুপুর ২ঃ৪৫ মিনিট
শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স দুপুর ২ঃ৩০ মিনিট

বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই বিমান ভাড়া কত?

যারা চেন্নাই যেতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকে এখনো জানে না বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই বিমান ভাড়া কত টাকা। মূলত চেন্নাই যাওয়ার জন্য দুইটি এয়ারপোর্ট রয়েছে একটি হলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এই এয়ারপোর্ট ঢাকায় অবস্থিত।

এবং আরেকটি হলো ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এই এয়ারপোর্ট টি সিলেটে অবস্থিত। তবে বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই যাওয়ার জন্য সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সবচেয়ে ভালো হবে।

তবে চেন্নাই যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে চেন্নাই বিমান ভাড়া কত টাকা তা জানতে হবে। বাংলাদেশ থেকে মূলত চেন্নাই বিমান ভাড়া দুই ভাগে বিভক্ত একটি হলো ইকোনমিক ক্লাস এবং অপরটি হলো বিজনেস ক্লাস।

এই দুটির ভাড়া দুই রকম বিজনেস ক্লাসের চেয়ে ইকোনমিক ক্লাসের বিমান ভাড়া অনেক কম। তাই প্রিয় প্রবাসী ভাইদের সুবিধার্থে ইকোনমিক ও বিজনেস ক্লাসের বিমান টিকেট মূল্য নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।

ঢাকা-চেন্নাই রুটে সব ধরনের ট্যাক্সসহ ইকোনমি ক্লাসের একমুখি সর্বনিম্ন ভাড়া জনপ্রতি ১৫ হাজার ৫২০ টাকা থেকে শুরু হবে এবং রিটার্ন টিকেটের ভাড়া শুরু হবে ২৬ হাজার ৬৩৫ টাকা থেকে। ট্যাক্সসহ বিজনেস ক্লাসে একমুখি সর্বনিম্ন ভাড়া ৩৭ হাজার ৬২৪ টাকা এবং রিটার্ন টিকেটের ভাড়া শুরু হবে ৬১ হাজার ৯৯৫ টাকা থেকে।
  • বিমানের নাম সিটের ধরণ সিটের ভাড়া
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সুপার সেভার ২৪,০০০ – ২৭,০০০ টাকা
  • ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স সুপার সেভার ২০,০০০ – ২২,০০০ টাকা
  • শ্রীলংকান এয়ারলাইন্স সুপার সেভার ২০,০০০ – ২৫,০০০ টাকা
  • ইন্দিগো এয়ারলাইন্স সুপার সেভার .১৬,০০০ – ২০,০০০ টাকা
  • কাতার এয়ারওয়েজ বিজনেস ফ্লেক্সিবল ১,৩৪,০০০ – ২,১০,০০০
  • ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্স বিজনেস ফ্লেক্সিবল ৯০,০০০ – ১,২০,০০০ টাকা
  • টার্কিশ এয়ারলাইন্স বিজনেস ফ্লেক্সিবল ১,৪৪,০০০ – ১,৬৮,০০০ টাকা
  • ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বিজনেস ফ্লেক্সিবল ১,৭৭,০০০০ – ২,৫০,০০০ টাকা
ঢাকা থেকে চেন্নাই রুটের বিমানের নাম নিম্নে দেয়া হলোএয়ার ইন্ডিয়া।
  • ইন্দিগো এয়ার।
  • ফ্লাই দুবাই।
  • শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স।
  • ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
  • ভিস্তারা এয়ারলাইন্স।
  • টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
  • কাতার এয়ারওয়েজ।
  • ইতিহাদ এয়ারওয়েজ।
আপনি যদি উপরে উল্লেখিত বিমানের ফ্লাইটে করে ঢাকা হতে চেন্নাই যেতে চান তাহলে উপরোক্ত সময়ের মধ্যে এয়ারপোর্টে উপস্থিত থাকতে হবে। তাহলেই আপনি সঠিক সময়ে বিমান ধরে আপনার কাঙ্খিত গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবেন।

অনলাইনে বিমানের টিকেট বুকিংIndigo Air
১৬,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা (সুপার সেভার)
২১,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা (বিজনেস ফ্লেক্সিবল)
অনলাইন টিকেটঃ www.goindigo.inSriLankan Airlines
২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা
অনলাইন টিকেটঃ www.srilankan.comUS Bangla Airlines
২০,০০০ থেকে ২২,০০০ টাকা (সুপার সেভার)
অনলাইন টিকেটঃ usbair.comVistara Airlines
২৪,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা (সুপার সেভার)
৪০,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকা (বিজনেস ফ্লেক্সিবল)
অনলাইন টিকেটঃ www.airvistara.comBiman Bangladesh Airlines
২৪,০০০ থেকে ২৭,০০০ টাকা (সুপার সেভার)
অনলাইন টিকেটঃ www.biman-airlines.comGulf Air
৯০,০০০ থেকে ১২০,০০০ টাকা (বিজনেস ফ্লেক্সিবল)
অনলাইন টিকেটঃ www.gulfair.comFlydubai
৯০,০০০ থেকে ১২০,০০০ টাকা (বিজনেস ফ্লেক্সিবল)
অনলাইন টিকেটঃ www.flydubai.comQatar Airways
১৩৪,০০০ থেকে ২১০,০০০ টাকা (বিজনেস ফ্লেক্সিবল)
অনলাইন টিকেটঃ www.qatarairways.comTurkish Airlines Inc
১৪৪,০০০ থেকে ১৬৮,০০০ টাকা (বিজনেস ফ্লেক্সিবল)
অনলাইন টিকেটঃ www.turkishairlines.comEtihad Airways
১৭০,০০০ থেকে ২৫০,০০০ টাকা (বিজনেস ফ্লেক্সিবল)
অনলাইন টিকেটঃ www.etihad.com

বিমানের নিয়ম
নিয়ম অনুযায়ী ইকোনমি যাত্রীরা প্রত্যেকে ২০ কেজি পরিমাণ চেক কৃত মালামাল বহন করতে পারবেন। তাছাড়া কেবিন লাগেজ হিসেবে ৭ কেজি মাল বহন করা যাবে। বিজনেস ক্লাসের যাত্রীরা ২৫ কেজি চেক কৃত মালামাল এবং ৭ কেজি কেবিন লাগেজ বহন করতে পারবেন। 

এর চাইতে বেশি লাগেজ পরিবহন করতে চাইলে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে। এই ফি সম্পর্কে জানার জন্যে আপনার নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করুন।

অনলাইনে বিমানের টিকেট কাটার নিয়ম
একটা সময় ছিল বিমানের টিকেট কিনতে বিভিন্ন ব্রোকার ও লোকাল কোম্পানির লাইন ধরা লাগতো। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের হাত ধরে ঘরে বসেই টিকেট কাটা যায়। 

বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের ট্রাভেল এজেন্সি আসার পর নিমিষেই যেকোনো দেশে যেতে বিমানের টিকেট কেনা যাচ্ছে। এমনকি ভিসা না থাকলেও আবেদন করে ঝামেলাবিহীনভাবে ঘুরে আসা যায়।

যাই হোক, টিকেট কিনতে হলে আপনাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ফ্লাইটের সময়সূচী ও তারিখ নির্ধারণ করে টাকা পরিশোধ করলে ইমেইলে টিকেট পেয়ে যাবেন। এরপর ট্রানজ্যাকশন নম্বর বা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে টিকেট কি অবস্থায় আছে দেখতে পারবেন। 

চলুন জেনে নিই কিভাবে নিজের জন্য অথবা পরিবারের জন্য অনলাইনে টিকেট কিনবেন আর কিভাবেই বা অনলাইনে চেক করবেন।

যেভাবে অনলাইনে বিমানের টিকেট বুকিং করবেন

অনলাইনে টিকেট বুকিং নিতে আপনার কম্পিউটার বা ফোনের যেকোনো ওয়েব ব্রাউজার ওপেন করুন। এরপর ওয়েবসাইটে লগইন করে ফ্লাইট পেইজটি ভিজিট করুন। তারপর নিচের নির্দেশনা মেনে চলুনঃ-

  • পেইজের উপরের অংশে ওয়ান-ওয়ে, রাউন্ড নাকি মাল্টি-সিটি ট্রিপ হবে সেটি বাছাই করুন
  • টেক্সট বক্সে কোন ডেস্টিনেশন থেকে কোন ডেস্টিনেশনে যেতে চাইছেন সেটা খুঁজে বাছাই করুন
  • কোন তারিখে যেতে চাইছেন এবং কবে ফেরত আসবেন সেটা বাছাই করে দিন।
  • এবার সার্চ বাটনে ক্লিক করে সকল এয়ারলাইন্সের নাম ও টিকেটের মূল্য দেখে নিন।
  • পছন্দের এয়ারলাইন্সের টিকেট মূল্য দেখে “Select” ক্লিক করুন।
  • লগইন করে আপনার নিজস্ব শেয়ারট্রিপ একাউন্টে ঢুকুন (আগে থেকে সাইন আপ ও লগইন করা থাকলে)।
  • আপনার সুবিধামত পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করুন।
সাশ্রয়ী বা বিলাসবহুল টিকেট পেতে “Modify” অপশন থেকে ইকোনমি, প্রিমিয়াম ইকোনমি, বিজনেস ও ফার্স্ট ক্লাসের টিকেট সিলেক্ট করে মূল্য দেখে নিতে পারেন। এভাবে ওয়েবসাইট ও ইমেইলের মাধ্যমে ই-টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।

বিমানের অনলাইন টিকিটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ঠিকানা







অনলাইনে টিকেট কাটতে যা যা লাগবে

  • টিকেট কেনার জন্য আগে যেরকম বিভিন্ন তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে নাগরিকত্ব যাচাই করা লাগতো এখন সেসব কিছুই করা লাগেনা। সরকারি ডেটাবেইজে আপনার সকল তথ্য আছে। আপনাকে শুধুমাত্র নিজের পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসার বৈধতা যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে যা যা লাগতে পারেঃন্যাশনাল আইডি কার্ড।
  • বৈধ আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট ও ভিসা।
  • যাত্রা শুরু সময়, গন্তব্যস্থান ও টিকিটের সংখ্যা।
  • মূল্য পরিশোধের জন্য ব্যাংক, মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম বা কার্ডে টাকা থাকা।
টিকেট আবেদনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে টাকা পরিশোধ করে নিবেন, নইলে টিকেটটি বাতিল হয়ে যাবে। যদি ভিসা না পেয়ে থাকেন শেয়ারট্রিপ আপনাকে খুব সহজে অল্প কিছু তথ্যের মাধ্যমে ভিসা তৈরিতে সহায়তা করবে। এর জন্য এজেন্সিকে এ মেইল করতে পারেন অথবা ভিসা পেইজটি ঘুরে দেখতে পারেন।

শিশুদের টিকেট কিনতে যা যা লাগবে
শিশুদের বয়স অনুযায়ী আলাদা ক্যাটাগরির টিকেট থাকে। ২ বছরের কমবয়সী শিশুরা টিকেট ছাড়াই দোলনাতে করে বিমানে যেতে পারে। টিকেট কেনার সময় আবেদন করলে এয়ারলাইন্স এর পক্ষ থেকেই দোলনা দেওয়া হয়। ২ থেকে ১২ বছরের শিশুরা যার যার বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন মূল্যে টিকেট নিতে পারবে।

যেভাবে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে বিমানের টিকেট চেক করবেন
টিকেট কাটার পর ওয়েবসাইট থেকেই টিকেটের বুকিং স্ট্যাটাস দেখে নিতে পারবেন। এর জন্য একাউন্টে লগইন করুন। তারপর প্রোফাইলের নিচে “My Reservations” অপশনে ক্লিক করুন। এবার টিকেট নস্বর বা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে আপনার টিকেটের যাবতীয় তথ্য দেখা যাবে।

দেশের ভিতরে ফ্লাইটের টিকেট কিনতে যা যা লাগবে
আপনি কোনো বিশেষ ডকুমেন্টস ছাড়াই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যেতে পারেন। বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কিছু নির্মাণাধীন বিমান বন্দর আছে। আপনি চাইলে মাত্র ২০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, সৈয়দপুর, রাজশাহীতে যেতে পারবেন।

যদিও বিমান ভ্রমণের অনুমতি পেতে পাসপোর্ট লাগে, কিন্তু দেশের মধ্যে পাসপোর্ট ছাড়াও ভ্রমণ করা যায়। এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলেই হয়। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট দিয়ে টিকেট কিনতে পারবেন। 

তবে ফ্লাইটের দিনে চেক ইন ও চেক আউটের সময় বোর্ডিং গেটে “ফটো আইডেন্টিফিকেশন” প্রয়োজন হতে পারে।

বিমান টিকেট মূল্য ২০২৪ যেমন হতে পারে
গত বছরের তুলনায় এবছরের বিমান ভাড়া তেমন বাড়েনি। যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিমান ও ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো কম খরচে যাত্রীদের আকর্ষণ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে। বিমান রুট, দূরত্ব ও যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানের টিকেটের মূল্যে তারতম্য হয়।

আপাতদৃষ্টিতে ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট, ২৫ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকায় বাংলাদেশের নিকটবর্তী দেশের ফ্লাইট এবং ৫০ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকায় অন্যন্য দেশের ফ্লাইট পেয়ে যাবেন। 

এছাড়া ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকায় থাকা খাওয়াসহ হজ্জের বিভিন্ন প্যাকেজ নিতে পারবেন। এই মুহূর্তে কোন এয়ারলাইন্সের টিকেটের খরচ কত হবে সেটা ফ্লাইট পেজেই পেয়ে যাবেন।

যেভাবে অনলাইনে কম খরচে টিকেট পাবেন
যখন কম খরচে টিকেট পাওয়া যায়
  • বিমানের টিকেট মূল্য কমানোর জন্য কিছু কৌশল আছে। বিশেষ কিছু সময়ে টিকেট কিনলে অন্যদের চেয়ে কম খরচে টিকেট পাবেন। আমরা এবার এরকম কিছু টিপস দিবোঃভ্রমণের তারিখ যত তাড়াতাড়ি নির্ধারণ করতে পারবেন, ততই আপনি কম দামে টিকেট পাবেন।
  • সপ্তাহের মাঝামাঝি দিনগুলোতে ভ্রমণ করলে আপনি কম দামে টিকেট পাবেন।
  • ভ্রমণ মৌসুমের বাইরে অন্য সময় কম খরচে টিকেট পাওয়া যায়।
  • যত অগ্রিম টিকেট নিবেন তত কম খরচ হবে।
  • সকালের বা রাতের ফ্লাইটগুলো সাধারণত দিনের ফ্লাইটের তুলনায় কম দামে পাওয়া যায়।
  • এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে টিকেট বুক করলে আপনি ডিসকাউন্ট পেতে পারেন।
  • শেয়ারট্রিপ ওয়েবসাইট থেকে তূলনামূলক সবচেয়ে কম দামে টিকেট বুক করুন।
যেভাবে কম খরচের টিকেট পাওয়া যায়
বিমানের নানারকম ভ্রমণ প্যাকেজ পাবেন। যেমনঃ পরিবার নিয়ে ছুটি কাটানো, হজ্জ ও ওমরাহতে যাওয়াসহ বিভিন্ন রকম কাস্টমাইজ প্যাকেজ আছে। প্যাকেজগুলোতে থাকা, খাওয়া, সড়কপথে ভ্রমণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

তাই বেশ কম খরচে ফ্লাইটের টিকেট বুক করা যায়। আবার টেকেট কেনার সময় আপনি বিভিন্ন প্রমোশনাল ডিলস পেতে পারেন। এসব অফারে সারাবছরই আকর্ষণীয় ছাড় থাকে। অনেকসময় আসল মূল্যের অর্ধেক খরচে টিকেট কেনা যায়।

কোন ধরনের টিকেটের মূল্য কম হয়
যেকোনো দেশে যাবার জন্য একমুখী যাত্রা আর ফিরতি টিকেটসহ যাত্রার দুটি অপশন পাবেন। আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ফিরতি টিকেট নিলে কয়েক হাজার টাকা সাশ্রয় হয়। কারণ এয়ারলাইন্স অগ্রিম যাত্রী পেয়ে তাদের খরচ বহন করতে পারে। তাই কোথাও যাবার সময় রাউন্ড ট্রিপ বাছাই করে টিকেট নেওয়া সেরা সিদ্ধান্ত হবে।

অনলাইনে যেসব এয়ারলাইন্সের টিকেট বুক করতে পারবেন
ফ্লাইটের জন্য বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বিভিন্নরকম মূল্যে টিকেট দিবে। এর কারণ সব এয়ারলাইন্স নিজেদের মান অনুযায়ী সেবা দেয়। কেউ সাধারণ সেবা দেয় আর কেউ বিলাসবহুল খাবার ও পরিবেশ সরবরাহ করে। 

যত দামী ফ্লাইট তত বেশি সুবিধা পাবেন, যেমন ইন্টারনেট,বিনোদন ব্যবস্থা, শোবার ব্যবস্থা ভাল হবে। চলুন জেনে নিই কোন কোন এয়ারলাইন্সের টিকেট পাবেন আর কোন এয়ারলাইন্স ভাল হবে।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলে ঢাকা থেকে চেন্নাই বিমানের সময়সূচি ও ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মত আমি google এ আর কোন আর্টিকেল পাইনি যেখানে এত বিস্তারিতভাবে এই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

আজকের আর্টিকেল থেকে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অন্যান্য আর্টিকেলগুলো পড়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে। আবার দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে অন্য কোন বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আর্টিকেলগুলো সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটকে ফলো করে পাশেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url