রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন চমৎকার কার্যকরী
প্রিয় পাঠক আপনি কি রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন, ছেলেদের রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন, রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একেবারে সঠিক জায়গাতে ক্লিক করেছেন। এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিতে হয় বা নেওয়া উচিত, সে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ এই পোস্টটিতে এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাই এই পোস্টটি অনেক বেশি ইনফরমিটি হবে।
ভূমিকাঃরাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন
প্রিয় বন্ধুরা বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েরা অবহিত ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এর পাশাপাশি তারা আরও বিভিন্ন উপায় জানার জন্য ইন্টারনেটের সার্চ করে থাকে। আবার অনেকেই আছে এই সম্পর্কে বা কিভাবে রাতে ত্বকের যত্ন নিতে হয় সে সম্পর্কে খুব বেশি জানা নেই।
আপনারা যারা এই বিষয় নিয়ে সমস্যায় আছেন বা জানতে অনেক আগ্রহী। আপনাদের সমস্যার সমাধানের জন্য এই পোস্টটি লেখা। এ সম্পর্কে জানতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন দারুন কার্যকর
রাতে আমাদের শরীরের মত আমাদের ত্বকও বিশ্রাম নেয়। তাই দিনের বেলাতে যেমন ত্বকের যত্ন নিতে হবে তেমনি রাতের বেলাও যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন। বলা যায় রাতের সময়টা রূপচর্চার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় আমাদের ত্বক সারাদিনের ক্লান্তি, দূষণ ইত্যাদি প্রভাব কাটিয়ে ওঠে এবং সেল রিনিউয়াল প্রসেস, বডি রিপেয়ারিং এর কাজ শুরু করে। তাই একটু যত্ন নিলেই সুস্থ-সুন্দর ত্বক পাওয়া সম্ভব।
তাহলে রাতে ত্বকের যত্নে কি কি করতে হবে চলুন জেনে নিন-
প্রথমত: ত্বক পরিষ্কার করতে হবে- সারাদিনের জমে থাকা ধুলোবালি, ঘাম, তেল, লোমকুপে জমে ত্বকের ক্ষতি করে। ত্বক পরিষ্কার না থাকলে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়।
তাই ত্বকের ধরন যেমনি হোক না কেন রাতে শুতে যাওয়ার আগে ত্বক ভালো করে ক্লিনজিং জেল বা ফেইস ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করুন। স্পর্শকাতর ত্বক হলে ব্যবহার করতে পারেন ভেষজ ফেসওয়াশ। তবে মুখে সাবান ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ সাবানে থাকা ক্ষার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। ত্বক পরিষ্কার করার পরে ভালো মানের মশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে একদিকে যেমন ত্বক পরিষ্কার হবে তেমনি ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতাও বজায় থাকবে।
দ্বিতীয়ত: ক্রিম ব্যবহার- ত্বক ভালো রাখতে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করুন। ত্বকে ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে আর এ কারণে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়বে না ও দূর হবে বলিরেখা। রাতের বেলায় ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ক্রিম। এটি যে কোনো ত্বকের জন্য মানানসই।
তৃতীয়ত: টোনিং করতে হবে- ত্বক পরিষ্কারের পর টনিং করা জরুরি। এজন্য তুলোয় টোনার নিয়ে ভালো করে মুখ মুছে নিন। ত্বক মসৃণ, টানটান এবং উজ্জ্বল রাখার জন্য টোনিং করার কোন বিকল্প নেই।। তবে এই প্রক্রিয়াটি খুব হালকা ভাবে করতে হবে। টোনার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে।
চতুর্থত: ময়েশ্চারাইজিং করতে হবে- ত্বক পরিষ্কার ও টোনিং করার পর ত্বক মশ্চারাইজ করা খুবই জরুরী। তাই মুখ পরিষ্কার করার পর অবশ্যই কোনো ভালো মানের ময়শ্চারাইজার লাগান। ময়শ্চারাইজার ত্বক হাইড্রেটেড রাখে।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে কিছুক্ষণ মেসেজ করুন সেই সাথে থুতনি থেকে গলার নিচের অংশ ময়েশ্চারাইজার ক্রিম দিয়ে মেসেজ করুন।
ইচ্ছে হলে বাড়িতেও মশ্চারাইজার বানিয়ে নেওয়া যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে গোলাপজল, গ্লিসারিন ও অ্যালোভেরা জুস একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি ইয়ার টাইপ কন্টেনারে রেখে ফ্রিজে স্টোর করতে পারেন।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ ত্বক নরম রাখার জন্য বেশ কার্যকর এটি নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের জেল্লা বহুগুণ বাড়বে।
পঞ্চমত: ত্বকের জন্য সিরাম একটা উপকারী প্রোডাক্ট। সিরাম আপনার ত্বকের বলিরেখা দূর করে বয়সের ছাপ কমিয়ে ফেলে। দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন তবে অবশ্যই ঘুমানোর আগে একবার।
মুখ পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজার দেওয়ার পূর্বে সিরাম লাগাতে হবে কয়েক ফোঁটা সিরাম আপনার ত্বকের সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে।
ছেলেদের রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন জেনে নিন
মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরকেও ত্বকের যত্ন নিতে হয়। কারণ ছেলেদের ত্বক এমনিতেই বেশি রুক্ষ তাই তাদের ত্বকের সমস্যাও বেশি। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন না নিলে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক অল্প বয়সেই ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়।
চোখের নিচে কালো দাগ পরে, নানা রকমের চর্ম রোগের সৃষ্টি হয়, তাছাড়া অল্প বয়সেই বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেখা যায়। এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে হলে সঠিকভাবে যত্ন নেয়া প্রয়োজন। তবে মাথায় রাখতে হবে ত্বকের যত্ন মানে অনেক বেশি পণ্য ব্যবহার নয় বরং সঠিক পণ্য ব্যবহার।
তাহলে জেনে নেয়া যাক রাতে ত্বকের যত্নে ছেলেরা যা যা করবেন-
* ফেসওয়াশ ব্যবহার- মুখ ধুতে সাবানের পরিবর্তে ভালো মানের ফেসওয়াশ বা ক্লিনজিং জেল ব্যবহার করা উচিত। সাবানে থাকা ক্ষার ত্বককে বেশি রুক্ষ করে যা মুখের ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
যারা বাহিরে বেশি সময় থাকেন তারা ফেসওয়াশ ব্যবহারের পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন এবং সপ্তাহে অন্তত দুদিন স্ক্রাব করানো উচিত।
* ময়শ্চারাইজার ব্যবহার- ছেলে হোক বা মেয়ে হোক ময়শ্চারাইজার ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান । এটি ব্যবহার করা খুবই জরুরী। এটি যে শুধু ত্বকেকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখে তা নয় ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
গোসল এবং সেভ করার পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো অর্থাৎ ত্বক একটু ভেজা থাকা অবস্থায় এটি ব্যবহার করতে হবে।
* সঠিক পদ্ধতিতে শেভ করুন- সঠিক পদ্ধতিতে শেভ করা উচিত তাছাড়া রেজার বার্ন বা রেজার বাম্পের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে গোসলের সময় বা গোসলের পর পরই শেভ করা উচিত।
শেভ করার পর হালকা করে বরফ ঘষে নিতে হবে এরপর লাগাতে হবে আপনার শেভ লোশন। শেভিং এর পরে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগানো টা জরুরী। তাছাড়া মশ্চারাইজার ক্রিম মাখা যেতে পারে তাহলে সারাদিন ত্বক সুন্দর থাকবে।
* নিয়মিত ফেসিয়াল করুন- ছেলেরা সারাদিন বাহিরে কাজ করার কারণে তাদের ত্বক থাকে রুক্ষ, শুষ্ক ও খসখসে। এজন্য তাদের বিউটি এক্সপার্ট দিয়ে প্রতি মাসে অন্তত একবার ফেসিয়াল করানো উচিত। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী ফেসিয়াল করানো উচিত।
ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকলে আয়ুর্বেদিক ফেসিয়াল করলে উপকার পাবেন ঘরে বসে ত্বকের যত্ন নিতে চাইলে রোদে পোড়া ভাব কমাতে চন্দনের প্যাক লাগাতে পারেন। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা সানবার্ন ফেসিয়াল করাতে পারেন। যাদের ত্বক তৈলাক্ত করাতে পারেন অ্যালোভেরা ও গোল্ড ফেসিয়াল।
* সানস্ক্রিন ব্যবহার- রোদে বেশি সময় থাকলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় আর এ ধরনের সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। তবে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন পাওয়া যায় ত্বকের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই নির্বাচন করতে হবে সানস্ক্রিন ক্রিমটি।
সংবেদনশীল ত্বকের জন্য অবশ্যই কোমল, সুগন্ধিহীন পণ্য নির্বাচন করতে হবে। সৌন্দর্য পণ্য কেনার আগে বুঝতে হবে ত্বকের ধরন সেন্সিটিভ, স্বাভাবিক, শুষ্ক এবং তৈলাক্ত ত্বকের ধারণ অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন করতে হবে।
রাতে ঘুমোনোর আগে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় জানুন
সারাদিন বাইরে থাকার কারণে ত্বকে যে ধুলোবালি, ময়লা জীবাণু পড়ে তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন পড়ে।, আপনি যদি আপনার ত্বকের সুস্থ ,সুন্দর, ও মসৃণ রাখতে চান তবে রাতে ত্বকের যত্ন অবশ্যই করতে হবে। রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন তা আজকের আলোচনার বিষয়।
* সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করা- বাইরে থেকে এসে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে। মুখে জমে থাকা ধুলোবালি আপনার ত্বকে ব্রণ, রিংকেল, ও মেস্তা দ্রুত পড়তে সাহায্য করে।
* ক্লিনজার ব্যবহার করুন- ধুলোবালি বা মেকআপ শুধু পানি দিয়ে না পরিষ্কার করে ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করুন। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার বাছাই করতে হবে। অয়েলি ত্বক হলে ওয়েল ফ্রি ক্লিনজার আর শুষ্ক ত্বক হলে মাইল্ড ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন।
* টোনার ব্যবহার- ত্বকে ক্লিনজিং করার পরে টোনার ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বকের মরা চামড়া তুলে ত্বককে করে মসৃণ। এছাড়া এটি তেলতেলে ভাব কমিয়ে ত্বক স্বাভাবিক রাখে। এক টুকরো তুলোতে অল্প টোনার নিয়ে ত্বকে ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে।
* ভিটামিন ই ক্রিম- ত্বকের জন্য ভিটামিন ই ক্রিম অনেক ভালো যা ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে। এছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল চোখের নিচে ইউজ করতে পারলে ডার্ক সার্কেল দূর হয়।
* সিরাম এর ব্যবহার- ত্বকের যত্নে সিরাম একটি উপকারী পণ্য। এটি ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখা দূর করে বয়সের ছাপ কমিয়ে ফেলে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে কয়েক ফোটা সিরাম ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে।
* ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার- ত্বকের যত্নে ময়শ্চারাইজার এর গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। ত্বক ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে টোনিং করার পরে অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। ময়শ্চারাইজার ত্বকে আদ্রতা দিয়ে থাকে যার ফলে ত্বকে বলিরেখা সহজে পড়ে না।
* পর্যাপ্ত ঘুম- আপনি যতই ত্বকের যত্ন নিন না কেন পর্যাপ্ত না ঘুমাতে পারলে কোন যত্ন উপকারে আসবে না। প্রতিদিন নিয়ম করে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে পারলে ত্বক সতেজ ও প্রাণবন্ত হবে।
শীতের রাতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন জানুন
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ সময় ত্বকে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই শীতকালে ত্বকে একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে। শীতের রাতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেবেন রইল কিছু টিপস-
১. রাতে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য কাঁচা দুধ ব্যবহার করুন। এটা প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয় এটা ব্যবহারের ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে পাশাপাশি কাচা দুধ ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কাঁচা দুধ ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
২. শীতে প্রতিদিন ত্বক স্ক্রাব করার দরকার নেই একদিন পরপরই এক্সফোলিয়েট করুন। এতে ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষ দূর হয়ে ত্বককে করবে সফট, নরম এবং কোমল। স্কাব হিসেবে নারিকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. প্রতিদিন ত্বক মেসেজ করুন। এলোভেরা জেল, নারিকেল তেল দিয়ে ত্বক মেসেজ করলে ভালো। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। আর মেসেজ করার পরে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
৪. সপ্তাহে একদিন করে হাইড্রেটিং ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন। এক চামচ মধুর সঙ্গে দই মিশিয়ে নিন। তারপর উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
৫. শীতের রাতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা খুবই ভালো। ত্বকে আল্ট্রা হাইড্রেটিং মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এতে ত্বক কোমল এবং স্বাস্থ্যকর থাকবে।
গরমে রাতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন জেনে নিন
১. মেকআপ না তুলে রাতে ঘুমাতে যাবেন না। মেকআপ ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে রাখে তাই এটা সঠিকভাবে পরিষ্কার করে রাতে ঘুমাতে যেতে হবে। তবে মেকআপ পরিষ্কার করার জন্য ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কোন মেকাপ রিমুভার ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. মুখে সারা দিনের ময়লা বা ধুলোবালি পরিষ্কার করার জন্য ভালো মানের ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ভেষজ ফেসওয়াশ ব্যবহার করা ভালো।
৩. মুখ ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করার পরে অবশ্যই মুখে টোনার লাগিয়ে নিন এতে ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স সঠিক থাকবে।
৪. মুখ ফেস ওয়াশ দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে ভালো মানের মশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরী।
ময়শ্চারাইজার ত্বককে মসৃণ, কোমল ও আর্দ্র করে রাখে।
৫. সপ্তাহে এক দিন রাতে মুখে মাস্ক লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে হালকা উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন অনুযায়ী পণ্য বাছাই করতে হবে।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়-শতভাগ কার্যকর
প্রিয় বন্ধুগণ শীতে আমাদের ত্বক সাধারণত ড্রাই এবং রুক্ষ দেখায়, এ সময় আমাদের ত্বক এর যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে। শীতের মধ্যে কুসুম গরম পানিতে গোসল করার চেষ্টা করবেন।
ফ্রেশ গোসল হয়ে যাওয়ার পর ভালো করে টাওয়াল দিয়ে পুরো শরীরটাকে মুছে নিয়ে এবার আপনাকে ভালো ক্লিনজার ক্রিম ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। গোসল শেষ করে চেষ্টা করতে হবে খুবই দ্রুত এই মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করার জন্য, কারণ এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে থাকবে।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় জানুন
এক্ষেত্রে আপনারা গ্লিসারিন ইউজ করতে পারেন, এরকম অনেক মশ্চারাইজার ক্রিম রয়েছে যা আপনি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি নারিকেলের তেলও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
এটা ব্যবহার করতে হবে বিশেষ করে গোসল করার পরে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। দিনে কমপক্ষে দুইবার ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
ছেলেদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়-যেভাবে করবেন
ছেলেরা কিভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখবে সে সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এক্ষেত্রে ছেলেদেরকে অতিরিক্ত রোদ, ধূলা. বালি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। ছেলেদের যদি অতিরিক্ত রোদে কাজ করতেই হয়, তাহলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
বাইরের কাজকর্ম সেরে যখন বাসায় আসবেন তখন কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে ধুয়ে নেবেন। যদি হাতের কাছে ভালো ফেসওয়াস থাকে তাহলে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, যে ফেসওয়াশ আপনি ব্যবহার করছেন সেটা যেন অতিরিক্ত ক্ষার না হয়।
আপনার ত্বকের জন্য যে ফেসওয়াশটি বেশি উপযুক্ত মনে হয় সে ফেসওয়াশটি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। বাজারে অনেক ধরনের নকল ফেসওয়াশ পাওয়া যায় যেগুলো অতিরিক্ত বাজে কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি এ সমস্ত ফেসওয়াশ থেকে দূরে থাকবেন।
এভাবে মেনে চললে ছেলেরাও তাদের কাজকর্মের পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে পারবে।
মেয়েদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়-শতভাগ কার্যকর
মেয়েদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চাইলে ত্বককে সবসময় ক্লিন অর্থাৎ পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয়, তখন বিভিন্ন ধরনের বিরূপ আবহাওয়া ও পরিবেশের মধ্যে আমাদের ত্বককে ফেস করতে হয়।
বিশেষ করে যখন বাইরে প্রচন্ড রোদ থাকবে অবশ্যই সেক্ষেত্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে বাহিরে যেতে হবে। কারণ সূর্যের যে ক্ষতিকর রশ্মি তা আপনার স্কিনকে ক্ষতি করে দিতে পারে। উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চাইলে রাতে কিছু প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে এবং ত্বকের পরিচর্যা করতে হবে।
হলুদের গুড়া বিশেষ করে অর্গানিক বা অরজিনাল যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। হলুদের গুঁড়ার মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের জন্য ভালো।
চা চামচের হাফ চামচ হলুদের গুঁড়া তার সাথে বেসনের গুড়া মিক্স করে এর সাথে পানি বা মিল্ক ব্যবহার করে রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগিয়ে নিন।
এই পেস্ট ড্রাই না হওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন দেখবেন, আপনার ত্বকে আসলেই উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বয়সের ছাপ দূর করার উপায় এবং তারুণ্য ধরে রাখার উপায়-দারুন কার্যকর
প্রিয় বন্ধুরা বয়সের ছাপ দূর করতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে শরীরের মধ্যে কোলাজেন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এর মধ্যে থাকে প্রচুর প্রোটিন, এই প্রোটিন যুক্ত কোলাজেন আমাদের ত্বকে টানটান রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
যখন আমাদের শরীরে কোলাজেন এর মাত্রা কম থাকে তখন আমাদের শরীরের স্ক্রিন ঝুলে যেতে শুরু করে এবং স্কিনের ছাপ পড়তে দেখা যায়। আবার কোন বিশেষ অংশে যদি এর মাত্রা কমে যায় তাহলে সেখানে গর্ত ভাব দেখা যায়।
তাহলে বন্ধুরা অবশ্যই বুঝতে পারছেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, বয়সের ছাপ দূর করতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে কোলাজেন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুরা আপনারা যদি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে চান তাহলে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমানোর এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে আঁচিল দূর করতে হয় জানুন
স্বাস্থ্যকর ডায়েট বলতে পুষ্টিকর স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা এবং প্রতিনিয়ত শরীর চর্চা করা । শরীরচর্চা আপনার স্কিনকে টানটান রাখতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তাই প্রতিনিয়ত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
প্রতিদিন খাবারের তালিকায় কোলাজেন যুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করবেন যেমন মাছ, মুরগির মাংস এবং ফলমূল। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে যদি আপনি বয়সের চাপ দূর করতে চান। পাশাপাশি স্মোকিং এবং ড্রিংকিং করার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন।
তাই বয়সের ছাপ দূর করতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে আপনার দৈনন্দিন কাজকর্মকে সঠিক নিয়মের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।
মুখে ব্রণ থাকলে যেভাবে রাতে ত্বকের যত্ন করবেন
ত্বকের যত্ন ছেলে-মেয়ে সবার প্রয়োজন কিন্তু যাদের ব্রণ রয়েছে তাদের জন্য এ যত্নটুকু একটু বেশি প্রয়োজন। বর্ণের জন্য রাতে ত্বকের যত্নে যা করবেন নিচে আলোচনা করা হলো:
- রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
- ব্রনের জন্য শসা রস ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
- ওয়েলি তোকে বৃদ্ধি পায় কারণ ধুলো ময়লা সহজে লেগে যায় তাই ত্বকে দূর করতে শসার রস, গোলাপ জল, মধু ও লেবু ইত্যাদি ব্রণে দিলে ব্রনের সমস্যা অনেকটাই ভালো হয়ে যায়।
- নিমপাতা বেটে ত্বকে রাতে লাগিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলবেন এতে ব্রণ অনেকটাই কমে আসবে।
- সারাদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করবেন এতে করে শরীরের জীবাণুগুলো দূর হবে সাথে ব্রণ কমবে।
- রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। নিয়মমাফিক ঘুমাতে পারলে তোকে ব্রনের সমস্যা অনেকটাই রাস পাবে কেননা রাত জাগা ব্রণ হওয়ার কারণ।
পরিশেষে
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আমি আশা করি আপনারা ত্বকের যত্ন কিভাবে নেওয়া উচিত ঘুমোতে যাওয়ার আগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন পাশাপাশি উপকৃত হয়েছেন।
এই ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সে পর্যন্ত আমাদের পাশে থাকুন। সবশেষ আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url