কথাবার্তায় স্মার্ট হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক এই পোষ্টটিতে কথাবার্তায় স্মার্ট হওয়ার উপায়, কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়, মেয়েরা কিভাবে স্মার্ট হবে এবং কিউট হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। আপনারা যারা এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহে তারা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
তাই যারা স্মার্ট হওয়ার সম্পর্কে জানতে চান তাদেরকে আজকের আর্টিকেলে স্বাগতম।
ভূমিকা
বন্ধুগণ আমরা অনেকেই সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে চাই কিন্তু অনেকেই আমরা সেটা পারিনা। আমাদের প্রত্যেকটি অঞ্চলের এই আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে আমরা সাধারণত যে অঞ্চলের মানুষ সে সেই অঞ্চলেই কথা বলতে কমফোর্ট ফিল করি।
কিন্তু আপনি যদি সুন্দর করে কথা বলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সুন্দর করে কথা বলার কৌশল উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। এসব উপায় সম্পর্কে জানতে অনেকে ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে।
আপনি যদি এই সমস্যার সমাধান পেতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকেন। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
কথাবার্তায় স্মার্ট হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা আপনি যদি নিজেকে অনেক মানুষের মধ্যে স্মার্ট না হতে পারেন তাহলে আপনার গ্রহণযোগ্যতা মানুষের মাঝে থাকবে না।
আপনি যত বেশি এক্সেপশনাল হবেন যত বেশি জানবেন, যত বেশি ইনফরমেশন আপনার কাছে থাকবে তার মানে আপনার গ্রহণযোগ্যতা মানুষের মাঝে তত বেশি বাড়তে থাকবে।
সুন্দর পোশাক আশাক পড়লেই স্মার্টনেস বৃদ্ধি পায় না, স্মার্ট হতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন বিষয়ের উপরে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে অর্থাৎ অনেক বিষয়ের উপরে জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। আপনাকে কথাবার্তায় স্মার্ট হতে হবে।
মানুষের মধ্যে যখন আপনি কথা বলবেন আপনার কথাগুলো মানুষ যেহেতু শুনবে সেহেতু আপনার কথা অনেক সুন্দর, সাবলীল হতে হবে। আপনার কথাবার্তার মধ্যে যদি আঞ্চলিকতা চলে আসে তাহলে তা পরিহার করতে হবে, প্রত্যেকটি অঞ্চলের এই আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে।
সে অঞ্চলের কথা আপনার মধ্যে থাকতেই পারে যখন আপনি আপনার এলাকাতে বা এলাকার মানুষের সাথে মিশবেন তখন আপনার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারেন।
অন্যথায় পেশাগত জীবনে বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার মাঝে আঞ্চলিকতা পরিহার করুন সেখানে স্পষ্ট ও সুন্দর করে কথা বলুন।
অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কথা বলার সময় আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ যাতে সুন্দর হয় সে বিষয়টি আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে অর্থাৎ আপনি যে কথা বলছেন সে কথার সাথে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর মধ্যে ছন্দ থাকে সে বিষয়টি খেয়াল করতে হবে।
কারো সাথে কথাবার্তা বলার সময় আপনার কণ্ঠস্বরের মধ্যে অবশ্যই ভোকাল থাকতে হবে আপনি যার সাথে কথা বলছেন সে যাতে আপনার কথাগুলো স্পষ্ট ভাবে শুনতে পারে তার জন্য ভোকাল থাকা প্রয়োজন। যেটা আপনার কথাবার্তা বলার সময় স্মার্টনেস বাড়িয়ে তুলবে।
কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়-বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক
স্মার্ট হল বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার উপায়, আপনি যদি স্মার্ট হতে অবশ্যই আপনাকে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং আকর্ষণ করার মত ক্ষমতা ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে এর ফলে সহজেই আপনি একজন মানুষের কাছে আকৃষ্ট হতে পারেন, সে সাথে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
সাধারণত যারা খুব বেশি স্মার্ট মানুষ তারা মানুষদেরকে কথাবার্তার মধ্য দিয়ে তার নিজের সম্পর্কে অন্যের কাছে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে। যার কারণে মানুষ তাদের কথার উপরে ভরসা করে এবং তাদেরকে বিশ্বাস করে, আর কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকে।
স্মার্ট মানুষরা সাধারণত সাধারণ মানুষের থেকে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে জ্ঞান রাখে যার কারণে তারা অন্যান্য মানুষের কাছে জিনিয়াস পারসন নিজেকে তুলে ধরতে পারে। স্মার্ট মানুষগুলো যেহেতু যেকোন মানুষকে কনভেন্স করতে পারে তাই তাদের কাজগুলোও অনেক দ্রুত সেরে নিতে পারে।
ফলে আপনি খুব সহজেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে পারেন। প্রিয় বন্ধুরা স্মার্ট হওয়াটা খুব সহজ ব্যাপার নয় যাকে চাইলেন আর আপনি স্মার্ট হয়ে গেলেন অর্থাৎ সুন্দর পোশাক আশাক পড়লে যে আপনার স্মার্ট ব্যক্তি হতে পারেন ব্যাপারটা কিন্তু এমনটা একেবারেই নয়।
স্মার্ট হতে হলে আপনাকে অনেক বিষয়ের উপরে জেনারেল নলেজ থাকতে হবে অনেক বিষয়ের উপরে জ্ঞান থাকতে হবে। যাতে করে কেউ কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বা কোন বিষয় নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করতে চাইলে আপনি সেই প্রসঙ্গে গ্রহণযোগ্য কথা বলতে পারেন।
আপনি যদি স্মার্ট হতে চান তাহলে যেকোনো বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আপনার আগ্রহ থাকতে হবে। আপনার সামনে যে বিষয়টা চলে আসলো যেটা সম্পর্কে আপনি জানেন না আপনাকে অবশ্যই সে বিষয় সম্পর্কে নলেজ রাখতে হবে।
আপনাকে নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে শেখার বা যারা আগ্রহ থাকতে হবে এটা একটা না একটা সময় কোন না কোন ভাবে আপনার জীবনে কাজে আসবে।
নিয়মিত সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন প্রিন্ট মিডিয়া বা ইলেকট্রিক মিডিয়া হতে পারে বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদ সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন।
এর মাধ্যমে আপনি সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার ঘটনা সম্পর্কে আপনি অবগত থাকবেন যা আপনার স্মার্টনেস বাড়িয়ে দেবে।
ভালো ভালো লেখকের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন এর ফলে আপনি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ করবেন যা আপনার জীবনে চলার পথে অনেক কাজে আসতে পারে।
নতুন নতুন আইডিয়া ক্রিয়েট করতে হবে বিশেষ করে যারা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করে তারা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি স্মার্ট, তাই নিজেকে স্মার্ট হিসেবে প্রমাণ করতে চাইলে পরিবারের সমাজে বা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগে এমন কিছু আইডিয়া বের করুন।
যা মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে এর ফলে সমাজের মাঝে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব দেবেন, স্মার্ট মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব করুন এর ফলে নতুন নতুন আইডিয়া এবং বিভিন্ন ধরনের বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবেন যা আপনার স্মার্টনেস কে আরো বাড়িয়ে দেবে।
তাই এমন বন্ধু নির্বাচন করুন যে অনেক বেশি স্মার্ট যার কাছে অনেক বেশি তথ্য রয়েছে। এর ফলে আপনি আপনার অজানা অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো আপনি তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারবেন। সব সময় মনকে উজ্জীবিত এবং প্রাণবন্ত রাখতে চেষ্টা করুন।
যেকোনো পরিস্থিতির মাঝে নিজেকে হাস্যজ্জল ও প্রাণবন্ত রাখুন। এটা আপনার স্মার্টনেস বাড়িয়ে দেবে। নিজের মনকে প্রাণবন্ত রাখতে আপনি নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে পারেন যা আপনার মন এবং মেজাজকে সবসময় ফুরফুরে রাখবে।
আপনার আইডিয়াগুলো সব সময় লিখে রাখুন এর জন্য কাছে সব সময় একটি ছোট নোটবুক রাখতে পারেন বা মোবাইল ফোনে কথা স্পর্ট মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এ রেকর্ড রাখতে পারেন, যাতে পরবর্তীতে ভুলে না যান। এভাবে আপনি আপনার স্মার্টনেস সবার মাঝে বাড়িয়ে তুলতে পারেন।
কিউট হওয়ার উপায় এবং মেয়েরা কিভাবে স্মার্ট হবে-জেনে নিন
মানুষের মাঝে আপনাকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বা আকৃষ্ট করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু টিপস এপ্লাই করতে হবে। প্রথমেই আপনাকে বাইরের রূপ আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে অর্থাৎ নিজের চেহারা পোশাক আশাক এগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলা খুব জরুরী ছেলে এবং মেয়ের ক্ষেত্রেই।
পোশাক আশাক যদি চাকচিক্য সৌন্দর্য থাকে তাহলে মানুষ আপনার দিকে আকৃষ্ট হবে। তাই নিজেকে পরিপাটি রাখতে চেষ্টা করুন। মানুষ ভালো মেন্টালিটির মানুষকেই বেশি পছন্দ করে।
এক্ষেত্রে মানুষ মোটা নাকি চিকন নাকি বেটে এদিকে খেয়াল করে না তাই মেন্টালিটি টা ভালো হওয়াটা বা সুন্দর হওয়াটা খুবই জরুরী।
তাই আপনি সকলের মাঝে কিউট পারসন হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ভালো মেন্টালিটির মানুষ হতে হবে, তার মানে একটা সুন্দর মন থাকতে হবে। তাই আপনি যদি সবার মাঝে কিউট মেয়ে হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সুন্দর মেন্টালিটির মানসিকতা হওয়া প্রয়োজন।
লোকেরা অনেক সময় বা সব সময় ইন্টারেস্টিং মানুষকে বেশি পছন্দ করে বিশেষ করে যারা খুব হাসিখুশি থাকে হাস উজ্জ্বল ভাবে কথাবার্তা বলে এবং কথাবার্তা বলার মধ্য দিয়ে মানুষকে হাসাতে পারে আনন্দ দিতে পারে আশ্বাস দিতে পারে বিশ্বাস দিতে পারে আস্থা দিতে পারে।
তাই ইন্টারেস্টিং মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি যখনই যার সাথে কথা বলুন আপন মানুষ যখন আপনার সাথে কথা বলবে তখন তার কথা আপনি মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকুন এবং তার কথাকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করুন এর ফলে সে বুঝবে যে আপনি তাকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এতে উভয়ের কনভারসেশন এর মধ্যে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি হবে। কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে আপনাকে খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার বডিল্যাঙ্গুয়েজ এর দিকে।
বডিল্যাঙ্গুয়েজ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় কথা বলার পরিবেশ পরিস্থিতি সাথে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর মধ্যে যাতে ভারসাম্য বজায় থাকে সে বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে।
কথা বলার কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক
প্রিয় বন্ধুগণ কথা বলার সময় সব সময় স্পষ্ট করে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে, তাড়াহুড়া করে বা দ্রুত কথা বলার চেষ্টা করবেন না থেমে থেমে সুন্দর করে গুছিয়ে স্পষ্ট করে কথা বলবেন। কথা বলার সময় আপনার ভোকাল থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে সুন্দর করে কথা বলা কিন্তু একটি আর্ট।
আপনি যত সুন্দর করে কথা বলবেন মানুষ তত আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে। এটা হয়তো একদিন হবে না তবে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে আপনাকে প্রচুর পরিমানে প্র্যাকটিস করতে হবে।
যখন আপনি কারো সাথে কথা বলবেন তখন অবশ্যই চেষ্টা করবেন হাসিমুখে কথা বলার এবং কথা বলার সময় আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ যেন কথা বলার ধরনের সাথে ম্যাচ করে সে ব্যাপারটা খেয়াল করতে হবে।
আপনি কথা বলছেন এক ধরনের আর বডি ল্যাংগুয়েজ আর এক ধরনের যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা বেমানান দেখাবে। তাই কথা বলার সাথে বা ভাষার সাথে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর সামঞ্জস্য থাকা অত্যন্ত জরুরী। সুন্দর করে কথা বলা এটা কয়েকদিনের মধ্যেই যে সম্ভব ব্যাপারটা এমনটা নয়।
আপনি হুট করেই সুন্দর করে কথা বলতে পারবেন গুছিয়ে কথা বলতে পারবেন সেটা আপনার আয়ত্তে অল্প সময়ে আসবে না।
আপনাকে এর জন্য কয়েক মাস নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে আপনি যখনই যার সাথে কথা বলুন না কেন বাসাতে বা বাইরে সে ক্ষেত্রে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সবসময় স্পষ্ট করে এবং সুন্দর করে কথা বলার।
নিজেকে বদলাতে চাইলে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ মাস সময় দিতে হবে। তাড়াহুড়া করে কোন কিছুই ভালো হয় না। আপনি যখন সুন্দর করে কথা বলার চেষ্টা করবেন তখন থেমে থেমে অল্প অল্প করে গুছিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন।
দ্রুত কথা বলবেন না দ্রুত কথা বললে আপনার ভাষা সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলতে পারেন। কথা বলার সময় সুন্দর করে কথা বলার পাশাপাশি আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ মানানসই হওয়া উচিত। সে বিষয়টা আপনাকে খেয়াল করতে হবে যে কথা বলার ক্ষেত্রে আমার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ মানানসই হচ্ছে কিনা।
গুছিয়ে কথা বলার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
সবসময় চেষ্টা করতে হবে প্রতিটা শব্দের যাতে শুদ্ধ উচ্চারণ করা যায়। প্রিয় বন্ধুরা, আপনি প্রতিটি কথার যত শুদ্ধ উচ্চারণ করবেন ততই আপনার ভাষাটা মার্জিত হবে সুন্দর শোনাবে। যে আপনার কথা শুনবে সে দেখবেন আপনার কথা শুধু থাকবে।
তার মানে সে আপনার কথার প্রেমে পড়ে গেছে। সুন্দর করে কথা বলাটা কিন্তু একটা শিল্প। যার গানের গলা সুন্দর তার মানে সে তো সুন্দর করে গান গায় বলে সে একজন শিল্পী।
তাই আপনার গলা দিয়ে যখন স্পষ্ট করে সুন্দর করে কথা বলবেন, আর সেটা যদি আপনি করতে পারেন, তার মানে সেটাও কিন্তু একটা শিল্প।
মনে রাখবেন প্রত্যেকটি অঞ্চলের একটি আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে আঞ্চলিক টান রয়েছে, কিন্তু আপনি প্রফেশনালি কোন জায়গায় কথা বলবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই স্পষ্ট করে সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে।
সেখানে আপনি যদি আপনার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন তাহলে কিন্তু সেটা মোটেও গ্রহণযোগ্য হবে না।
আপনি যখন আপনার গ্রামে যাবেন আপনার এলাকায় যাবেন এলাকার মানুষের সাথে যখন কথা বলবেন তখন আপনি আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করতে পারেন। আঞ্চলিক ভাষাকে আমি খাটো করে দেখছি না প্রত্যেকটি মানুষেরই আঞ্চলিকতার রয়েছে।
আমরা যে অঞ্চলেরই মানুষ হই না কেন, প্রত্যেকেরই কিন্তু আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে, যেটা সাধারণত স্পষ্ট ভাষার সাথে সব ক্ষেত্রে মিলে যায় না। যখন আপনি বাহিরের কোন ক্লায়েন্টের সাথে অপরিচিত কোন মানুষের সাথে কথা বলবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আঞ্চলিকতা পরিহার করতে হবে।
তাহলে আপনার কথাটা আরো বেশি মার্জিত শোনাবে। আমাদের কথা বলার মধ্যে অনেক সময়, অযথাই যে ভাষা গুলো বলার প্রয়োজনই নেই সে কথাগুলো আমরা বলে থাকি বা সেই ভাষাগুলো আমরা ব্যবহার করে থাকি, যেটাকে আমরা মুদ্রাদোষ বলি।
এগুলো আস্তে আস্তে পরিহার করার চেষ্টা করতে হবে সম্পূর্ণভাবে। একদিন বা দুদিনে এটা সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা করতে হবে। আমরা অনেক সময় নতুন কোন মানুষের সাথে কথা বলার সময়ে ঘাবড়ে যায়।
কথা গুছিয়ে বলতে পারিনা সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নিজের সেলফ কনফিডেন্স থাকতে হবে নিজের প্রতি তাহলে আপনি গুছিয়ে কথা বলতে পারবেন।
কিভাবে স্মার্টলি কথা বলতে হয়-সে সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা আপনি যখন কারো সঙ্গে কথা বলবেন তখন আপনাকে অবশ্যই স্মার্টলি অনেক সুন্দর করে কথা বলতে হবে যেন সে আপনার কথা অনেক মনোযোগ দিয়ে শোনে। আপনার কথা ভাষার মধ্যে অবশ্যই সৌন্দর্য থাকতে হবে মাধুর্য থাকতে হবে।
আপনাকে স্পষ্ট করে গুছিয়ে কথা বলতে হবে তবেই আপনি একজনকে আকৃষ্ট করতে পারবেন। খেয়াল রাখতে হবে আপনি যখন কারো সঙ্গে কথা বলবেন তখন অবশ্যই আপনার আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করবেন না।
কথা বলার মধ্যে যদি আঞ্চলিকতা চলে আসে তাহলে আপনাকে নিয়মিত প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আঞ্চলিকতার টান দূর করতে হবে।
যদি আপনি কোন ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং করতে যান বা কোন একটা বিষয় নিয়ে কথা হতে পারে আলোচনা হতে পারে সে বিষয়টির উপরে আপনি সুন্দর করে কথা গুছিয়ে নিতে পারেন।
একটা প্রস্তুতি নিতে পারেন বা প্রয়োজনে আপনি কাগজের টুকরো করে নোট করে লিখে নিতে পারেন। এতে আপনার কথা আরো সুন্দর হবে আশা করা যায়। যে কোন কোম্পানির মিটিংয়ে কনফারেন্স রুমে যখন মিটিং শুরু হয়, যাদের বিশেষ করে প্রিপারেশন অনেক ভালো থাকে।
তারা কিন্তু ভালোভাবে পুরো বিষয়টা উপস্থাপন করতে পারে। এর ফলে তারা ম্যানেজমেন্ট এর কাছে মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে।
মানুষের সাথে কথা বলার কৌশল এবং জোরে কথা বলার কৌশল-জেনে নিন
সুন্দর করে কথা বলার প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে হলে আপনাকে কিছু বন্ধু নির্বাচন করতে হবে যাদের সাথে আপনি সুন্দর করে স্পষ্ট করে কথা বলবেন। যারা বিশেষ করে সুন্দর করে কথা বলতে পারে তারা কিন্তু প্র্যাকটিস করেই যে শুধু সুন্দর করে কথা বলতে শিখেছে তা কিন্তু নয়।
তারা বিভিন্ন ধরনের বই পুস্তক পড়ে যেগুলো থেকে তারা অনেক ধরনের ভাষা শিখে কথা গুছিয়ে বলতে পারে। আপনার পেশাগত জীবনে কারো কথাবার্তা শুনতে যদি অনেক বেশি ভালো লাগে আপনি তাকে কপি করতে পারেন।
সে কিভাবে কথা বলে কথা বলার সময় তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কেমন হয় সেগুলো আপনি ফলো করতে পারেন এবং করতে পারেন নিজে বাসায়। এভাবে আপনি মানুষের সাথে সুন্দর করে কথা বলার কৌশল রপ্ত করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ টেনশন দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন
যখন আপনি কারো সাথে কথা বলবেন তখন সহজ সরল ভাষায় সুন্দর করে কথা বলার চেষ্টা করবেন জটিল কোন শব্দ ব্যবহার করবেন না যে কথা বুঝতে তার অসুবিধা হয়। অর্থাৎ কঠিন জটিল বাক্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন, সহজ এবং সাবলীল ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করুন।
কথা বলার মাঝে আঞ্চলিকতা চলে আসলে বা আঞ্চলিক টান চলে আসলে অবশ্যই তা পরিত্যাগ করুন। আপনি যখন কারো সঙ্গে কথা বলবেন তখন সুন্দর করে স্পষ্ট করে কথা বলার পাশাপাশি আপনার কণ্ঠস্বর এর মধ্যে ভোকাল থাকতে হবে অর্থাৎ একটু জোরে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে।
যাতে আপনি যার সাথে কথা বলছেন সে আপনার কথাগুলো ভালোভাবে শুনতে পায় এবং বুঝতে পারে। ভিশন কনফিডেন্ট হয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন।
আপনি যদি কথা বলার সময় অনেক বেশি কনফিডেন্ট থাকেন তাহলে কথা বলতে আপনার কোন অসুবিধা হবে না কথা বলার মধ্যে আপনার কোন জড়তা কাজ করবে না। তাই সেলফ কনফিডেন্ট থাকতে চেষ্টা করবেন।
পরিশেষে
প্রিয় বন্ধুগণ আপনি যদি শুরু থেকে এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সুন্দর করে এবং গুছিয়ে কথা বলার বিভিন্ন কৌশল ও উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন আমি আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন। সবশেষে আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url