চুলকানি দূর করার সহজ উপায় এবং চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়-জানুন
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে চুলকানি দূর করার সহজ উপায়, ঘরোয়া উপায়, চুলকানি প্রতিরোধের উপায়, পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে এই সমস্যার সমাধানে সহায়তা করবে।
তাই যাদের এই সম্পর্কে জানার আগ্রহ রয়েছে, তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম।
ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুগণ চুলকানি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিরক্তিকর একটা বিষয়। বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি হয়ে থাকে। অনেকেই এই সমস্যা সমাধানের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে। তাদের দিক বিবেচনা করে আমার আজকের আর্টিকেলটি লেখা। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
চুলকানি দূর করার সহজ উপায়-জেনে নিন শতভাগ কার্যকর
এলার্জি ছাড়াও হঠাৎ করে হাত পায়ে চুলকানি হতে পারে। এটা একটা বিরক্তিকর ব্যাপার, আরে এ ব্যাপারটি আরও চরম পর্যায়ে চলে যায় যদি চুলকানি না থামে। আর বারবার চুলকাতে থাকে। যাদের ত্বক সেনসেটিভ তাদের চুলকাতে চুলকাতে ত্বক লালচে হয়ে যায়।
এই চুলকানির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের মলম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু মলম ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তার চেয়ে যদি ঘরোয়া উপায়ে চুলকানি দূর করা যায় তা যেমন নিরাপদ তেমনি অনেক বেশি কার্যকর। চুলকানি দূর করার জন্য অনেক ধরনের উপায় রয়েছে তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
নারিকেল তেল: তোকে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পণ্য হল নারিকেল তেল। যেকোনো প্রকার চুলকানি, পোকার কামড় বা অন্য কোন কারণে ত্বকে চুলকানি হলে যেখানে চুলকাবে সেখানে নারিকেল তেল দিয়ে দিতে হবে।
যদি সম্পূর্ণ শরীরে চুলকানি হয় তবে পুরো শরীরে নারিকেল তেল মাখতে হবে। কুসুম গরম পানিতে নারিকেল তেল মিশিয়ে গোসল করে ফেলতে পারলে চুলকানো টা কমবে।
ওটমিলের গুড়া: ওটমিলের গোড়া চুলকানি দূর করতে বেশ কার্যকর। গোসলের পানিতে খুব অল্প পরিমান কলই ডাল ওটস বা খুব সূক্ষ্ম ওটস পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। কলাই ডাল ওটস মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের উপর প্রদাহ বিরোধী ও আরামদায়ক আস্তরণ পড়বে।
ফলে চুলকানো কমে যাবে। রোদে পোড়া ত্বক বা চুলকানোর চিকিৎসায় ভালো ফল পেতে কুসুম গরম পানিতে ওটমিল পাউডার যোগ করে গোসল করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
এলোভেরা: অ্যালোভেরার পাতায় থাকে এন্টিব্যাকটেরিয়াল ফাংগাল গুণ যা ত্বকে দেয় আরাম মুহূর্তে সারিয়ে তুলে চুলকানির সমস্যা। সৌন্দর্য চর্চার পাশাপাশি এলোভেরা চুলকানি প্রতিরোধ করতেও বেশ কার্যকর। একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে রস বের করে চুলকানির স্থানে লাগালে চুলকানি দ্রুত কমে যাবে।
লেবু: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুতে আছে ব্লিসিং উপাদান যা ত্বকের চুলকানি রোধ করে থাকে। ত্বকের যেখানে চুলকানি অনুভূত হবে সেখানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যাবে চুলকানি কমে গিয়েছে।
বেকিং সোডা: চুলকানি পত্র দিয়ে বেকিং সোডা অনেক বেশি কার্যকর। পানি ও বেকিং সোডা দিয়ে পেজ তৈরি করে নিতে হবে। এক অংশ পানি তিন অংশ বেকিং সোডা তারপর চুলকানির জায়গায় পেস্ট লাগাতে হবে লাগালে দেখা যাবে চুলকানি অনেক কমে গিয়েছে।
বেকিং সোডা দিয়ে গোসল করা যেতে পারে এক্ষেত্রে বড় এক বালতি পানিতে হাফ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে সোডা মেশানো পানিতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখার পর শরীর পানি দিয়ে না ধুয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে। এতে পুরো শরীরের চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
ভিটামিন ডি: সাধারণত শীতকালে ভিটামিন ডি র অভাব দেখা দেয়। শরীরে ভিটামিন ডি'র অভাব দেখা দিলে চুলকানির পাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। তাই শরীরে ভিটামিন ডি নিশ্চিত করতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
পেট্রোলিয়াম জেলি: যদি আপনি সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারী হন তবে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শরীরের কোন অংশ চুলকানি হলে আপনি পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এটি সবার ঘরেই থাকে কলেজে কোন সময়ই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগার: এক কাপ জলে এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার তুলোর বল ওই মিশ্রণে ডুবিয়ে নিয়ে যেখানে চুলকানো অনুভূত হচ্ছে সেই স্থানে লাগিয়ে নিন। আপেল সিডার ভিনেগারের অ্যাসিটিক অ্যাসিড আপনাকে চুলকানির হাত থেকে আরাম দেবে। তখন ওপর লালচে ভাব দেখা যায়।
চুলকানি প্রতিরোধের উপায়-সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক দারুন কার্যকর
চুলকানি একটি চর্ম রোগ সেই সাথে এটি অস্বস্তিকর ব্যাপার ও বটে। বেশ কিছু বিষয় মেনে চললে একটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। এটি প্রতিরোধের জন্য বেশ কিছু মলম আবার বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে। তবে ওষুধ খেলে সাময়িকভাবে কমলেও এটা আবার দেখা দিতে পারে।
তাছাড়া ওষুধ খেলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যেমন ঘুম বেশি হতে পারে। আমাদের মধ্যে অনেকেরই তোকে চুলকানি হওয়ার সমস্যা রয়েছে। ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে মুখে হতে পারে শরীরের যেকোনো জায়গায় এটা হতে পারে।
আমাদের মধ্যে অনেক রোগীদের ধারণা যে বিভিন্ন খাবার থেকে হয়তো চুলকানিটা হতে পারে কিন্তু আসলে তেমনটা নয় যেকোনো কারণে ত্বকে চুলকানি হতে পারে। আমাদেরকে আইডেন্টিফাই করতে হবে যে কি কারনে শরীরের চুলকানি হচ্ছে এটা যদি আইডেন্টি করতে পারি তাহলে সেটা এভোয়েড করতে পারলে চুলকানিটা হাওয়া থেকে রক্ষা পাব।
যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়-জেনে নিন ১০০% কার্যকর
যোনিতে চুলকানি হওয়ার প্রধান কিছু কারণ রয়েছে তার মধ্যে আপনি যদি বেশিরভাগ সময় অপরিষ্কার থাকেন অর্থাৎ নিজেকে সেই স্থানগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখেন তাহলে চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিশেষ করে যোনিতে ব্যবহার করেন যে সমস্ত কাপড়-চোপড় গুলো রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কারণ খোলামেলা অবস্থায় থাকে না যার কারণে ঘেমে যাই ঘাম শুকিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা যায় চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে।
সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সের ছেলে মেয়েদেরকে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এটা অনেকটা পোশাক আশাকের উপরেও নির্ভর করে কারণ পোশাক যদি খুব মোটা হয়, আপনি যদি গরমের সময় মোটা পোশাক পড়েন তাহলে বাতাস প্রবেশের সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
যার কারণে ত্বকের ঐ সমস্ত স্থানগুলো ঘাটতে থাকে পরবর্তীতে নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে সাথে সাথে চুলকানি বাড়তে পারে। অনেক সময় প্রচুর চুলকানি শুরু হয়ে থাকে। অনেক সময় চুলকাতে চুলকাতে চামড়া উঠে যায়।
চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় এবংপুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম-জেনে নিন
চুলকানি খুবই বিরক্তি করা আমাদের সবার কাছে। ত্বকের যে কোন স্থানে আপনার চুলকানি হতে পারে। যে সমস্ত কারণে চুলকানি হতে পারে সে সমস্ত কারণগুলো আইডেন্টিফাই করে তার ব্যবস্থা নিলে তা প্রতিরোধ সহজে করা যায়।
ঘরোয়া কিছু উপায়ে রয়েছে সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব বিস্তারিত জানতে মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। আপনি হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে স্যাভলন দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি পরিষ্কার করে ধুয়ে নিলে এটা ভালো সম্ভাবনা থাকবে।
আর যদি ট্যাবলেট খেতে চান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ট্যাবলেট খেতে পারেন। আমরা যদি নিয়মিত নিজের শরীরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি, পোশাক আশাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে তাহলে স্বাভাবিকভাবে চুলকানির হাত থেকে বাঁচতে পারি।
চুলকানির ক্ষেত্রে আপনি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন যেমন একটি ক্রিমের নাম হল ইচগার্ড, এতে চুলকানি প্রতিরোধে ভালো কাজ করে। ব্যবহারের কিছুক্ষণ পরেই আপনি আরাম পাবেন।
পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করার উপায়-জেনে নেওয়া যাক
চুলকানি সাধারণত অপরিষ্কার জায়গাতে বিশেষ করে বেশি দেখা হয়ে থাকে তাই পুরুষ অঙ্গের আশেপাশের ত্বকে বেশিরভাগই এ ধরনের চুলকানি খুব বেশি দেখতে পাওয়া যায় নারী এবং পুরুষের ক্ষেত্রে।
আবার অনেকেই বাথরুম করার পরে ত্বকের আশেপাশের জায়গাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে না মুছে না যার কারণে চুলকানিটা আশেপাশে দেখা যায়। এত বেশি চুলকানি শুরু হয় যে আপনার চুলকাতে খুব ভালো লাগবে।
তাই গোসল করার সময় প্রসঙ্গের আশেপাশের ত্বক ভালো করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবেন ভালো করে টাওয়াল দিয়ে মুছে নিবেন যাতে পানি জমে না থাকে হালকা পোশাক আশাক পরবেন।
আমরা সাধারণত দেখতে পাই গরমের সময় যদি হালকা কাপড়-চোপড় পড়া যায় বা ঘন মোটা কাপড় না পড়ে পাতলা কাপড় ব্যবহারের ফলে দেখা যায় পুরুষাঙ্গের আশেপাশের ত্বকে চুলকানি দেখা যায় না। অনেক সময় আন্ডার প্যান্ট পড়ার কারণে চুলকানি খুব বেশি দেখা যায়। প্রয়োজন হলে গরমের সময় ব্যবহার করার দরকারই নেই।
পরিশেষে
প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন, আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজে পেয়েছেন। এ ধরনের নিয়মিত আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন।
সবশেষে আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url