শসা খাওয়ার উপকারিতা এবং ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম-শতভাগ কার্যকারী | Rahul IT BD

শসা খাওয়ার উপকারিতা এবং ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম-শতভাগ কার্যকারী

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলে শসা খাওয়ার উপকারিতা, ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম এবং শসা খাওয়ার সঠিক সময় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা এই সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তারা মনোযোগ দিয়ে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত করতে থাকুন।
শসা খাওয়ার উপকারিতা এবং ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম
তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক এবং জেনে নেওয়া যাক শসার বিভিন্ন উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলের শসার বিভিন্ন পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। শসা আমাদের অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। প্রতিনিয়ত খাবারের তালিকায় শসা আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই সসার পুষ্টিগুণ, উপকারিতা সম্পর্কে খুবই কম জানি। তাই এই পোস্টটির মাধ্যমে সে সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।

শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-শসা পুষ্টিগুণে ভরপুর

দেহের পানির শূন্যতা দূর করেঃ শসা মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। তাই দেহের পানির শূন্যতা দূর করতে এর জুড়ি নাই। আপনার যদি অনেক পানি পিপাসা লেগে থাকে বা গলা শুকিয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কাছাকাছি কোথাও পানির ব্যবস্থা না থাকলে যদি শসা পেয়ে যান তাহলে আপনি শসা খেয়ে পানি শুন্যতা দূর করতে পারবেন। কারণ শসার মধ্যে 90% পানি থাকে।

দেহের ভেতরে বা বাইরে তাপ শোষকঃ অতিরিক্ত তাপমাত্রাতে আমাদের শরীরের ভেতরে এবং বাইরে আমাদের শরীরের তাপ বেড়ে যায় এক্ষেত্রে আপনি সসা খেলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি ত্বক জ্বালাপোড়া করলে আপনি শসা ব্যবহার করতে পারেন।

বিষাক্ততা দূর করেঃ শসার মধ্যে প্রচুর পানি থাকার কারণে আমাদের শরীরের মধ্যে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থগুলো ছাকনির মত বের করতে সহায়তা করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে থাকা পাথর গলে যায়।


ভিটামিনের শূন্যতা দূর করাঃ আমাদের শরীরে প্রচুর ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। শসা এক্ষেত্রে আমাদের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি এবং সি রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শক্তি বাড়ায়। তাই আমরা খাবারের সময় সসাকে সালাত হিসাবে ব্যবহার করে খেতে পারি।

ত্বকের পরিচর্যা বিশেষ ভূমিকা রাখেঃ সহ সাথে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সিলিকন থাকে যা ত্বকের পরিচর্যা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ শসা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। শসা এমনিতেই খেতে পারেন আবার খাবারের সাথে সালাত করেও খেতে পারেন শরীরের বাজে ফ্যাট ঝরাতে শসা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কাঁচা শসা খেলে তা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

চোখের জ্যোতি বাড়ায়ঃ রূপচর্চার ক্ষেত্রে অনেকেই চোখের উপরের শসা গোল করে কেটে দিয়ে রাখেন এটার রূপচর্চারই একটি অংশ। এতে চোখের পাপড়িতে বা পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারণ হয় তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতে সহায়তা করে।

ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করেঃ চোখের প্রদাহ এবং প্রতিরোধক উপাদান অনেক বেশি থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও শসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করেঃ শরীরের জরায়ু, স্তন ও মূত্রনালীতে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। এ সমস্ত দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেকটা দিন খাবারের তালিকায় শসা রাখা উচিত।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ শসা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাই নিয়মিত শসা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

মুখ পরিষ্কার রাখেঃ শসা গোল করে কেটে আপনি মুখের ভিতর দিয়ে কয়েক সেকেন্ড রেখে দেন এভাবে রাখলে মুখের ভিতরে থাকা জীবাণুগুলো ধ্বংস হবে। তাই মুখ পরিষ্কার রাখতে শসা বিশেষ ভূমিকা রাখে।

চুল নখ সতেজ থাকেঃ শসার মধ্যে যে সিলিকন থাকে তা আমাদের চুল ও নক কে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। তাই চুল ও নখকে সুস্থ রাখতে শসা খাওয়ার তালিকায় রাখতে হবে। পাশাপাশি চুল ও নখ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা-সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় বন্ধুরা সসা যেমন আমাদের শরীরে অনেক বেশি উপকার বয়ে নিয়ে আসে তেমনি না বুঝে খেলে বা নিয়ম না জেনে খেলে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। শসা খেতে আমরা প্রায় সবাই পছন্দ করি সবার কাছে এই খাবারটা অত্যন্ত প্রিয়। 


আমরা দুপুরে বিশেষ করে খাবারের সাথে সালাত হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। তবে রাতে শসা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা বাদ দিতে হবে কারণ রাতে শসা খাওয়া শরীরের জন্য খুব একটা ভালো নয়। তাই রাতে শসা খাওয়া এভোয়েড করে চলাটাই উচিত।

খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা-বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

শসা আমাদের সকলেরই প্রিয় একটি খাবার। প্রতিনিয়ত খাবারের সময় আমরা সশাকে সালাত হিসাবে খেয়ে থাকে। শসা অনেক উপকারী একটি খাবার। শসা খেলে আমাদের অনেক উপকার হয়। সারাদিন খালি পেটে থাকার পর শসা খেলে পানি শূন্যতা কাটাতে দারুন ভাবে সহায়তা করে। 


শসার মধ্যে ক্যালরি কম থাকার কারণে আমাদের শরীরের ওজন বাড়ে না বরং কমাতে সাহায্য করে। অনেকের শসা খাবার সময় শসা বাকোল ফেলে খেয়ে থাকেন কিন্তু বাকলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তাই বাকোল সহ শসা খেলে সবথেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম-শতভাগ কার্যকরী

ডায়েট করতে অনেকে শশা খেয়ে থাকেন ডায়েট বিশেষজ্ঞরা শসা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রচুর পানি থাকায় শসা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো তবে সারাদিন শসা খেয়ে থাকতে হবে ব্যাপারটা এমনটা নয়। অনেকে আছেন সবজি খেতে চায়না কিন্তু যখন ওজন কমানোর কথা চিন্তা করে তখন জোর করে হলেও শসা খেয়ে থাকেন। 

সব ধরনের রঙিন শাক-সবজি থেকে আমরা যেমন পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে তেমনিভাবে সবুজ শসা থেকেও আমরা পুষ্টিগুণ পেতে পারি। শুধুমাত্র সশাকে ওজন কমানো যাবে ব্যাপারটা এমনটা নয়। 

আমরা যদি শুধুমাত্র শসা খেয়ে ডায়েট করার চেষ্টা করি তাহলে অন্যান্য পুষ্টি গুণের ঘাটতি আমাদের শরীরে দেখা দিবে। তাই অন্যান্য খাবারগুলো আমাদেরকে পরিমাণমতো এবং নিয়ম মাফিক খেতে হবে।

শসা খাওয়ার সঠিক সময়-জেনে নিন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত

যাদের খুব বেশি সর্দি কাশি বা ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য শসা কম পরিমাণে খাওয়াটাই ভালো। আর যদি আপনি এই অবস্থাতে বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার এই সমস্যাটা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। শসা যে কোন সময় খেলে শরীরের জন্য ভালো হবে ব্যাপারটা এমনটা নয়। 

শসা খাওয়ার সঠিক সময় হলো সকাল দশটা থেকে দুপুর ২ টা বা তিনটা এর ভিতরে শসা খেলে শরীরে পর্যাপ্ত উপকার হতে পারে। কারণ এ সময় শরীরের ডাইজেশন প্রক্রিয়াটা খুব ভালো থাকে। তাই শসা খেলে সময়ের মধ্যে খেলে শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনার যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে এবং আপনার কোন কাজে আসে, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। 

আবার দেখা হবে নতুন কোনো আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের পাশেই থাকুন। সবশেষে আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url