SEO কি? জেনে নিন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সম্পর্কে জানার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটিতে এসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাই আপনি যদি এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাকে স্বাগতম।
ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই পোস্টটিতে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাই এই পোস্টটি আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েন, আমি আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
SEO কি? জেনে নিন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত
সার্চ ইঞ্জিন এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে গিয়ে তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন- ইয়াহু আছে, বিং আছে তবে আমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হলো গুগল। গুগলে গিয়ে আমরা অনেক কিছু সার্চ করতে পারি, আর গুগল একটি সার্চ ইঞ্জিন।
ধরুন আপনার একটি ব্যবসা আছে এবং কিছু প্রোডাক্ট আছে, এখন সেই প্রোডাক্টগুলো আপনি অনলাইনে বিক্রি করবেন, কিন্তু কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট গুলো কিভাবে খুজে পাবে, যেন খুঁজে পায় সেই উপায়কে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে।
আমাদের যদি কোন অনলাইন প্লাটফর্ম থাকে বা কোন দোকান থাকে বা আমাদের যে কোন প্রোডাক্ট পার সেবা থেকে থাকে সেটা আমরা অনলাইনে প্রচার প্রচারণা চালাতে চাই সেটা ফ্রিতে বা টাকা দিয়ে এ কাজটি করার জন্য আমাদের এসইও সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
ধরুন কোন একটি বিষয় সম্পর্কে আপনি জানতে চান, google সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ বক্সে গিয়ে, আপনি সেই কথাটি লিখলে google আরো কিছু ওই সম্পর্কিত সাজেশন দেবে। সাজেশন এর শুরুতে যে কথাটা থাকে সেটা দিয়ে মানুষ বেশি সার্চ করে থাকে। যে কথাটা লিখে আমরা গুগলে সার্চ করছি, সে কথাটাকে আমরা বলব এসইও কিওয়ার্ড।
আরো পড়ুনঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ কেমন করে করতে হয়
পেইড এসইওঃ পেড এসইও এর বড় সুবিধা হল যে আমাদেরকে কোন টেকনিক জানতে হয় না। শুধুমাত্র আমরা গুগল এ টাকা পয়সা খরচ করে পেইড এসইও করতে পারি। যে সকল সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে সে সমস্ত জায়গাতে টাকা পয়সা খরচ করে প্রচার প্রচারণার জন্য আমরা বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে আমরা পেইড এসইও এর কাজ করতে পারি।
অর্গানিক এসইওঃ অর্গানিক এসইও করার জন্য আমাদের অনেক রকমের টেকনিক শিখতে হয়। ধরুন আমার একটি ওয়েবসাইট আছে, দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকি। যখন কোন মানুষ গুগলে সার্চ করে আমার ওয়েবসাইটটি খুঁজে পায়।
কারণ সেখানে অর্গানিক এসইও করা আছে। এজন্য অর্গানিক এসইও করার জন্য আমাদেরকে বেশ কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হয়। এর সুবিধা হল টাকা খরচ ছাড়াই অর্গানিক এসইও করে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে পারি বা কোন পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপনের প্রচার-প্রচারণা করতে পারি অর্গানিক এসইও এর মাধ্যমে।
অন পেজ এসইওঃ একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে পোস্ট বা আর্টিকেল কে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করানোর জন্য যে কাজগুলো করা হয় সেই কাজগুলোই হল অন পেজ এসইও।
অর্থাৎ আমাদের ওয়েবসাইটের সেটিংস এর মধ্যে যে সমস্ত টেকনিক, পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং এডিট মডিফাই করব পোস্ট বা আর্টিকেলটি গুগলে শো করানোর জন্য, সে সকল কাজকে আমরা অন পেজ এসইও বলবো।
অফ পেজ এসইওঃ ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট বা আর্টিকেলকে গুগলে রেঙ্ক করানোর জন্য এর বাইরে গিয়ে অন্য কোন সাইটে কাজ করে এই পোস্ট গুগলে রেঙ্ক করানোকে অফ পেজ এসইও বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়
অর্থাৎ অফ পেজ এসইও হল আমাদের ওয়েবসাইটের ভেতরে কাজ না করে অন্য কোন কোথাও কাজ করে আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্টটি রেঙ্ক করানো হল অফ পেজ এসইও।
লোকাল এসইওঃ আপনি যে সকল জায়গায় আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে চান বা আপনি আপনার পণ্য বা সেবাকে লোকাল জায়গায় ছড়িয়ে দিতে চান এবং সে জায়গার লোকজনকে আপনি যদি আপনার পণ্য বা সেবা প্রদানের জন্য আকৃষ্ট করানোকে লোকাল এসইও বলে।
গ্লোবাল এসইওঃ আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট বা আর্টিকেল তারপর পণ্য বা সেবা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান, সেক্ষেত্রে আপনি যে এসইও টি করবেন, সেটাই হলো গ্লোবাল এসইও।
টেকনিক্যাল এসইওঃ টেকনিক্যাল এসইও হল, সেই এসইও যে সকল কাজগুলো আপনার ওয়েবসাইটে বা ওয়েবসাইটের বাইরে করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের পোস্ট সেবা বা পন্যকে গুগলে সুন্দরভাবে রেঙ্ক করানোকে টেকনিক্যাল এসইও বলে।
হোয়াইট হ্যাট এসইওঃ এসইও করার জন্য কোন একটা সার্চ ইঞ্জিনের যে সমস্ত নিয়ম-কানুন বা অ্যালগরিদম থাকে, সে সকল নিয়ম-কানুন মেনে আমরা যদি এসইও করি, তাহলে তাকে হোয়াইট হ্যাট এসইও বলে।
ব্ল্যাক হ্যাট এসইওঃ ব্ল্যাক হ্যাট এসইও হলো সেই এসইও, যেটার মাধ্যমে কোন একটা সার্চ ইঞ্জিনের যে সার্চ অ্যালগরিদম বা নিয়ম-কানুন রয়েছে, সেই নিয়ম কানুন না মেনে উল্টাপাল্টা ভাবে কাজ করে দ্রুত রেঙ্কে নিয়ে আসার জন্য যে এসইও করা হয় সেটাই হল ব্ল্যাক হ্যাট এসইও।
গ্রে হ্যাট এসইওঃ গ্রে হ্যাট এসইও হলো ৫০ ভাগ ব্ল্যাক হ্যাট এসিও আর ৫০ ভাগ হোয়াইট হ্যাট এসইও পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রে হ্যাট এসইও করতে হয়। তার মানে নিয়মকানুন কিছুটা মানা হবে আবার নিয়মকানুন কিছুটা ভঙ্গ করা হবে, এরকম পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরা যদি কোন পোস্টকে এসইও করি, তাহলে সেটা হবে গ্রে হ্যাট এসইও।
SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার মাস্টার ক্লাস সম্পর্কে জানুন
এসইও করানোর মাধ্যমে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে যে সমস্ত আর্টিকেল বা পোস্ট রয়েছে অথবা সেবা বা সার্ভিস রয়েছে সেটাকে আমরা র্যাংক করাইতে পারি। প্রতিদিন এক থেকে দুইটা আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। যত ভালো এসিও করা হবে তত বেশি ভিউজ আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে তত বেশি আপনার বেসিক ইনকাম হবে।
যখন দেখবেন যে আপনার ওয়েবসাইটে শত শত পোস্ট হয়ে গেছে ভালোভাবে এসইও করা হয়েছে, তখন কয়েকটা দিন ওয়েবসাইটে কাজ না করলেও দেখবেন যে আপনার স্বয়ংক্রিয় ভাবে ইনকাম আসতেই থাকবে।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি পোস্ট হলেও পাবলিশ করতে হবে। আপনার পোষ্টের টাইটেল অবশ্যই ৮ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হতে হবে, এর থেকে বেশি হওয়া উচিত নয় এবং ফোকাস কিওয়ার্ড অবশ্যই টাইটেল এর মধ্যে থাকতে হবে।
পোষ্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আরও অন্যান্য পোস্ট থাকলে অবশ্যই একটি আরেকটির সাথে ইন্টার্নাল লিংক দিতে হবে। পাঠক যদি সেই লিংক দেখে আকৃষ্ট হয় তাহলে সে ঐ লিংকের মধ্যে প্রবেশ করবে এবং প্রবেশ করার পূর্বে তাকে অ্যাড দেখানো হবে সেই অ্যাড দেখে আপনার ইনকাম বেশি হবে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার উপায়
আর আপনি যদি আপনার পোষ্টের মধ্যে কোন লিংক না রাখেন তাহলে পাঠকরা অন্য কোন পোস্টে যেতে পারছে না সেহেতু ইনকাম বেশি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই অবশ্যই পোষ্টের মধ্যে লিংক দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
পোষ্টের পেইজের মধ্যে অবশ্যই সূচিপত্র থাকতে হবে, যাতে করে পাঠকরা সূচিপত্র দেখে, যে সেকশনটি পড়তে চায় সেখানে ক্লিক করলেই সেকশন টি পড়তে পারবে। তাহলে একটি পোস্টকে ভালো এসইও করতে হলে প্রথমে টাইটেল তারপর ভূমিকা বাটন, ভূমিকা তারপর ফিচার ইমেজ তারপর পেজ সূচিপত্র।
এখানে যে কয়েকটা সেকশনের কথা বলা হলো প্রত্যেকটি সেকশনের মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড ভালোভাবে ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে। এরপরে পুরো পোস্টটাকে প্যারাগ্রাফ আকারে লিখে যেতে হবে এবং প্যারাগ্রাফের মাঝে বিভিন্ন জায়গায় আরো পড়ুন লিখে লিঙ্ক দিতে হবে।
এ সমস্ত নিয়মকানুন ফলো করে যদি পোস্ট লিখে পাবলিশ করা যায় তাহলে এসইওতে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। আর এভাবে রেগুলার পোস্ট লিখতে থাকলে ভালো ইনকাম করা সম্ভাবনা তৈরি হবে।
পরিশেষে
প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমি আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন।
এ ধরনের নিয়মিত আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। আর বেশি কথা না বলে, আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url