রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানসমূহ এবং ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা রাজশাহী শহরের সৌন্দর্য এবং নিরাপত্তা আপনাকে মুগ্ধ করবে। রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানসমূহ সম্পর্কে আপনারা যারা অবগত নন, তাদের আর্টিকেলটিতে স্বাগতম। কারণ এই আর্টিকেলটিতে রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি রাজশাহী শহরে যদি ঘুরতে আসেন দেখবেন, পুরো রাজশাহী শহর ঝকঝকে চকচকে কাঁচের মতো পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ।
ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুরা আজকের আপনি যদি রাজশাহী শহরে কখনো না এসে থাকেন তাহলে অবশ্যই রাজশাহী শহরে ঘুরতে আসার জন্য আপনাকে অগ্রিম আমন্ত্রণ ও স্বাগত জানাই। এ শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি বড় যে সুবিধা, সেটা হল নিরাপত্তা। আপনি পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে এ শহরের প্রত্যেকটি দর্শনীয় স্থান উপভোগ করতে পারবেন।
এখানে অনেক ভালো মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে এবং সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। আমি আশা করি রাজশাহী শহরের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। তাই এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
রাজশাহী শহরের যেসব দর্শনীয় স্থানগুলো অবশ্যই ভ্রমণ করবেন
টি-বাঁধ ও আই-বাঁধ সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানের এর মধ্যে এটি অন্যতম। শহরের শান্ত পরিবেশ এবং অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনি অবশ্যই টি-বাঁধ ও আই-বাঁধে আসতে মিস করবেন না। এটি পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত, এখানকার পরিবেশ মনোমুগ্ধকর এবং ঠান্ডা শীতল বাতাস আপনাদের মুগ্ধ করবে।
টি-বাঁধ ও আই-বাঁধের উপর অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট রয়েছে, ছোট ছোট মজাদার খাবারের দোকান রয়েছে। যেখানে বসে আপনারা পরিবার নিয়ে খাবারের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড সম্পর্কে জানুন
রাজশাহী শহরে ঘুরতে আসলে অবশ্যই রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ঘুরে যেতে ভুলবেন না। খুবই চমৎকার সাজানো গোছানো সবুজে ভরা সুন্দর একটি ক্যাম্পাস। পুরো ক্যাম্পাসের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করলে মনে হবে, আপনি সুন্দর কোন পার্কের মধ্যে আছেন। তাই রাজশাহী শহরে বেড়াতে আসলে অবশ্যই রাজশাহী ইউনিভার্সিটি না দেখে যাবেন না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্যারিস রোড আপনাকে মুগ্ধ করবে। ক্যাম্পাসে আপনি গাড়ি না নিয়ে ঘুরে, যদি পায়ে হেঁটে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন, তাহলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যটা দারুন উপভোগ করতে পারবেন।
রাতের আলোকসজ্জা দেখতে রাজশাহীতে আসুন
আপনি রাজশাহী শহরে আসবেন, আর রাতে রাজশাহী শহর ঘুরবেন না, তা হতেই পারে না। বিশ্বাস করেন, রাজশাহী শহরের প্রায় ৮০ ভাগ সৌন্দর্যই লুকিয়ে আছে রাতের রাজশাহীতে। যত রাত হতে থাকে শহরের সৌন্দর্য তত বৃদ্ধি পেতে থাকে। চারিদিকে এত আলোকসজ্জা আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে।
মন ভালো নেই, আর আপনি যদি রাজশাহীর মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আমি বলব একটু কষ্ট করে হলেও রাতের শহরে একটু ঘুরে আসুন একা, কিংবা পরিবার নিয়ে।
আরো পড়ুনঃ কুষ্টিয়ার দর্শনীয় স্থানসমূহ জানতে
এরপরেও যদি মন ভালো না হয়, তাহলে আমার মনে হয় আপনাকে মনোবিজ্ঞানী ডাক্তার কে দেখাতে হবে। যাইহোক, কথাটা মজা করেই বললাম।
মুক্তমঞ্চ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক
এই মুক্তমঞ্চটি পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষে তৈরি হয়েছে ১৯১৩ সালে। এখানে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাচ-গান ইত্যাদি বিভিন্ন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁসে হওয়ায়, বিশেষ করে বিকাল থেকে শুরু করে রাত্রি দশটা পর্যন্ত ব্যাপক জমজমাট থাকে।
আরো পড়ুনঃ কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে
এখানে আসলে যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন, তেমনি পদ্মা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঠান্ডা শীতল হাওয়া উপভোগ করতে পারবেন।
পদ্মা গার্ডেন সম্পর্কে জানতে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন
এটি সাহেব বাজার থেকে খুব কাছেই অবস্থিত এবং রাজশাহী কলেজের পাশে। পদ্মা নদীর পাড়ে সুন্দর এই পর্দা গার্ডেন আপনাকে মুগ্ধ করবে। এখানে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট আছে, ছোট ছোট অনেক খাবারের দোকান আছে, এখানে পরিবার নিয়েও আপনি ঘুরতে আসতে পারেন।
বিকেলে পদ্মা গার্ডেনে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসবের মেলা বসে, মন ভালো না থাকলে এখানে ঘুরতে আসতে পারেন।
যারা রাজশাহী শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঘুরতে আসবেন, অবশ্যই পর্দা গার্ডেন দেখে যাবেন। আমি আশা করি এর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
রাজশাহী কলেজ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়ুন
রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের অনেক পুরনো একটি কলেজ, এটি ১৮৭৩ সালে স্থাপিত। রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম, বিখ্যাত একটি কলেজ। এই কলেজের অনেক বিল্ডিং অনেক পুরাতন হওয়ার কারণে, রাজশাহী কলেজের মধ্যে প্রবেশ করলে মনে হয়, কোন রাজা-বাদশাদের এলাকার মধ্যে চলে এসেছি।
রাজশাহী শহরে আসলে, অবশ্যই রাজশাহী কলেজ ঘুরে যাবেন, এর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এটি অন্যতম।
রাজশাহী চিড়িয়াখানা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
এখন রাজশাহী চিড়িয়াখানা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এক সময় রাজশাহী চিড়িয়াখানাতে অনেক ধরনের প্রাণী ছিল বাঘ, সিংহ, গাধা, ভাল্লুক আরও নানা ধরনের পশু পাখিতে ভরপুর ছিল। বর্তমানে এটি বলতে পারেন যে, একটি শিশু পার্ক এর মত।
প্রায় ৩৩ একর জমিতে এই পার্ক নির্মিত, রাজশাহীর অন্যতম একটি বিনোদন কেন্দ্র। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এখানে পিকনিক করতে আসে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও আসে। রাজশাহী চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
শহীদ জিয়া শিশু পার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
শহীদ জিয়া শিশু পার্ক রাজশাহী শহর থেকে বেশি দূরে নয়। রাজশাহী শহরে বেড়াতে আসলে অবশ্যই শহীদ জিয়া শিশু পার্কে ঘুরে আসবেন। এটি একটি আধুনিক পার্ক। এখানে শিশু ,মধ্য, বয়স্ক যেকোনো বয়সের মানুষ, এই পার্কে এসে আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।
এখানে বাচ্চাদের জন্য এবং বড়দের জন্যও বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে। ছুটির দিনে এই পার্কে সময় কাটানোর মজাটাই অন্যরকম।
পরিশেষে
প্রিয় বন্ধুরা এই আর্টিকেলটিতে আমি রাজশাহী শহরের বেশ কিছু আকর্ষণীয়, দর্শনীয় স্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা যারা রাজশাহী শহরে ঘুরতে আসতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি দেখে অবশ্যই উপকৃত হবেন।
আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে, আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে, অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url