নিম পাতার উপকার-অবিশ্বাস্য হলেও শতভাগ কার্যকরী
প্রিয় পাঠক এই পোস্টটিতে নিম পাতার উপকার, চুলের জন্য নিমপাতার উপকারিতা, চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার, তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার, নিমপাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
আপনি যদি এসব সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম।
ভূমিকা
প্রায় চার হাজার বছর ধরে বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে নিমপাতা। নিম গাছের পাতা থেকে শুরু করে নিম গাছের ছাল, ফুল ও ফল সবকিছুই পুষ্টিগুণে ভরপুর। আপনি যদি নিয়মিত সকালে খালি পেটে নিম পাতা খাওয়া শুরু করেন তাহলে প্রচুর উপকার পাবেন। ওজন কমানো থেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
নিম পাতার উপকার-অবিশ্বাস্য হলেও শতভাগ কার্যকরী
নিম পাতা ওজন কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে যেমন সহায়তা করে তেমনি পেট ব্যথা, আলসার, হৃৎপিণ্ড ও ধমনীর রোগ, চোখের সমস্যা, মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নিম গাছের পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
নিম পাতায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়। তাই ভারত বাংলাদেশ এবং আফ্রিকার মানুষগুলো এটা বিশ্বাস করেন যে নিমপাতা কমপক্ষে ৪০টি জটিল ও সাধারণ রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চার থেকে পাঁচটি নিম পাতা খেলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আপনি যদি টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন তাহলে প্রতিদিন সকালে নিমপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। কারণ এতে বিভিন্ন রকমের গ্লাইকোসাইট পাওয়া যায় যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে দারুনভাবে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করাতে নিমপাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে এন্টিহিস্টামিন উপাদান থাকে যা রক্ত নালীকে সচল রাখে। নিম পাতার বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীরে দুর্বলতা দেখা যায়
নিম পাতা রক্ত চলাচল বৃদ্ধির সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। আপনি যদি নিয়মিত এক কাপ পানির সাথে এক চামচ মধু এবং এক চামচ নিমপাতার রস মিশিয়ে খান তাহলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখেঃ হৃদযন্ত্র ভালো রাখার জন্য নিমের ব্যবহার করা যেতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা যায় যে নিম পাতার নির্যাস হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং স্পন্দন স্বাভাবিক রাখে। তাই আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সকালে নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা নিম পাতার রস খেতে পারেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে নিম পাতা খুবই কার্যকরী। নিমের ফুল শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে নিমপাতা এবং নিমের ফুল একসঙ্গে বেটে এবং এক চা চামচ লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সেবন করতে পারেন।
হাঁপানি কমায়ঃ বহু বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় হাঁপানির ওষুধ হিসেবে নিমের তেল ব্যবহার করা হয়। নিম এর ফল থেকে যে রস পাওয়া যায় তা প্রতিদিন সকালে নিয়মিত পান করলে হাঁপানির মতো কষ্টদায়ক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও জ্বর সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করে।
লিভার ভালো রাখেঃ মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো লিভার। নিম গাছের ফুল লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লিভারে জন্ডিসের মত সমস্যা দূর করতে নির্বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
নিম পাতার নির্যাস লিভারের টক্সিন দূর করে এবং লিভারে ইনজাইমের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। তাই আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।
দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখেঃ দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন সমস্যার কারণে বহু বছর ধরেই নিম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের মুখে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া দেখা দিয়ে থাকে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে নিরাময় পেতে হলে নিমের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এ কারণে বিভিন্ন টুথপেস্টে নিমের তেল ব্যবহার করা হয়।
চোখের সমস্যা দূর করেঃ নিম পাতার অনেকগুলো উপকারের মধ্যে একটি অনন্য উপকার হলো চোখের সমস্যা দূর করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। যদি আপনি আপনার চোখে জ্বালা লালচে বা অসস্তি বোধ করেন তবে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়
এজন্য নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে সিদ্ধ করে পরবর্তীতে ঠান্ডা করে আপনার চোখ ধোয়ার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন। এ পদ্ধতি আপনার চোখের যে কোন ধরনের জ্বালা লালচে ভাব ও ক্লান্তি ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
আলসার প্রতিরোধ করেঃ পাকস্থলীতে খুব বেশি এসিড তৈরি হওয়ার কারণে পেটে ব্যথা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিম পাতার নির্যাস পাকস্থলের অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণ করে আলসার প্রতিরোধ করে। তাই আপনার পেটের সমস্যা দূর করার জন্য অবশ্যই নিম পাতা খাওয়া প্রয়োজন।
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক-সম্পর্কে জেনে নিন
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই নিম পাতার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয় রয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের কখনো নিম পাতা খাওয়ানো উচিত নয়। এ বয়সে শিশুদেরকে নিম পাতা খাওয়ালে বমি ভাব, শারীরিক দুর্বলতা হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন সময় কখনো নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়। কারণ পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিং ঘটাতে পারে। সন্তান নিতে ইচ্ছুক এমন নারী এবং পুরুষদের অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়।
কারণ নিম পাতা নন পেগনেন্সি ট্যাবলেট এর মত অর্থাৎ জন্ম নিরোধক উপাদান হিসেবে কাজ করে। হরমোনের স্বাভাবিক বৃদ্ধি কমাতে পারে এবং পুরুষদের বীর্যে শুক্রানুর পরিমাণ স্থায়ীভাবে কমাতে পারে এবং নারীর সন্তান ধারণ করার ক্ষমতা সারা জীবনের মতো লোপ হতে পারে।
যার ফলে নারী এবং পুরুষ উভয়ই স্থায়ী বন্ধ্যাত্বতার শিকার হতে পারে। নিম পাতা খাওয়ার পূর্বে নিয়মকানুন জেনে খাওয়া উচিত অন্যথায় পুষ্টিগুণে ভরপুর নিমপাতা আপনার শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি-১০০% কার্যকর
যদি অনেকদিন থেকে এলার্জিতে ভুগে থাকেন তাহলে আর চিন্তা না করেই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়তে থাকুন। এমন একটি সহজ কার্যকরী উপায় আপনাদেরকে জানাবো যদি ঘরোয়া উপায়ে বাড়িতে বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। যে স্থানগুলোতে এলার্জির দেখা দিবে সেই স্থানে নখ দিয়ে চুলকানো একেবারে ঠিক নয়।
এর ফলে এলার্জি কোন একটি জায়গা থেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে আপনার প্রথমে লাগবে এক চা চামচের অর্ধেক পরিমাণ হলুদ, কারণ হলুদের মধ্যে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে।
এরপরে যে উপকরণটি লাগবে সেটা হল নিমপাতা আপনি কয়েকটি নিমপাতা ভালো করে বেটে পেস্ট করে নিতে পারেন। আবার আপনারা চাইলে নিম পাতা শুকানোর পর গুঁড়ো করেও ব্যবহার করতে পারেন।
নিম পাতার পেস্ট এবং হলুদ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে তারপরে এই মিক্সার এর সাথে এক চামচ নারিকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। নারিকেল তেল ছাড়া অন্য কোন তেল এই উপাদানের সাথে ব্যবহার করা উচিত নয়। পুনরায় এই তিনটি উপাদান আবার ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে।
সবশেষে অর্ধেক লেবুর রস এই মিক্সারের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে কারণ লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা এলার্জি ভালো করতে সাহায্য করে। পুনরায় আবার ভালো করে মিক্সড করতে হবে। এখন ব্যবহারের জন্য এটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি।
সকাল বেলায় এটি ব্যবহার করবেন এলার্জি যে স্থানগুলোতে হয়েছে সেখানে এক ঘন্টা রেখে তারপরে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নেবেন। তবে এই মিশ্রণটি সরাসরি হাতে না লাগিয়ে যেকোনো কিছু দিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে এলার্জির স্থানগুলোতে লাগাতে হবে।
এভাবে দুই দিন ব্যবহার করতে থাকলে আপনি এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন।
চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা-স্বপ্ন নয় সত্যি
খুব সুন্দর ও দৃষ্টি নন্দন চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অসাধারণ। চুলের নিমপাতা ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়, উকুন দূর হয় পাশাপাশি চুল পড়া বন্ধ হয়। এক কথা বলতে গেলে নিম পাতার ব্যবহার করে দূর করতে পারেন চুলের সব ধরনের সমস্যা।
নিম পাতা ব্যবহারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কেননা এটা প্রাকৃতিক মেডিসিন। চুল পড়া বন্ধ করতে হলে সপ্তাহে একদিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা রাখতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে দেখা যাবে চুল পড়া বন্ধের সাথে সাথে চুল নরম এবং কমল ও সিলকি হবে।
আবার সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার নিম পাতা বেটে তার সাথে মধু মিশিয়ে মাথার সমস্ত জায়গায় লাগিয়ে আধা ঘন্টা রেখে ভালো করে শ্যাম্পু করে ধরে নিতে হবে। এভাবে ব্যবহার করতে থাকলে চুল ঝলমলে এবং সুন্দর হবে।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা
আবার এক চা চামচ আমলকির রস, এক চা চামচ নিমপাতার রস, এক চা চামচ লেবুর রস পাশাপাশি টক দই মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন চুলে লাগিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই পদ্ধতি শুধু চুল পড়া বন্ধ করবে না পাশাপাশি খুশকি এবং উপনি দূর করতে সাহায্য করবে। তাই চুলের জন্য নিমপাতার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার-এই পদ্ধতি শতভাগ কার্যকর
যদি অনেকদিন থেকে চুলকানিতে ভুগে থাকেন তাহলে আর চিন্তা না করেই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়তে থাকুন। এমন একটি সহজ কার্যকরী উপায় আপনাদেরকে জানাবো যদি ঘরোয়া উপায়ে বাড়িতে বানিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। যে স্থানগুলোতে চুলকানি দেখা দিবে সেই স্থানে নখ দিয়ে চুলকানো একেবারে ঠিক নয়।
এর ফলে চুলকানি কোন একটি জায়গা থেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে আপনার প্রথমে লাগবে এক চা চামচের অর্ধেক পরিমাণ হলুদ, কারণ হলুদের মধ্যে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।
এরপরে যে উপকরণটি লাগবে সেটা হল নিমপাতা আপনি কয়েকটি নিমপাতা ভালো করে বেটে পেস্ট করে নিতে পারেন। আবার আপনারা চাইলে নিম পাতা শুকানোর পর গুঁড়ো করেও ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতার বেস্ট এবং হলুদ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
তারপরে এই মিক্সার এর সাথে এক চামচ নারিকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। নারিকেল তেল ছাড়া অন্য কোন তেল এই উপাদানের সাথে ব্যবহার করা উচিত নয়। পুনরায় এই তিনটি উপাদান আবার ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে।
সবশেষে অর্ধেক লেবুর রস এই মিক্সারের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে কারণ লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা চুলকানি ভালো করতে সাহায্য করে। পুনরায় আবার ভালো করে মিস করতে হবে। এখন ব্যবহারের জন্য এটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি।
সকাল বেলায় এটি ব্যবহার করবেন চুলকানি যে স্থানগুলোতে হয়েছে সেখানে এক ঘন্টা রেখে তারপরে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নেবেন। তবে এই মিশ্রণটি সরাসরি হাতে না লাগিয়ে যেকোনো কিছু দিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চুলকানির স্থানগুলোতে লাগাতে হবে। এভাবে দুই দিন ব্যবহার করতে থাকলে আপনি এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন।
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার-শতভাগ কার্যকারী
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী। এজন্য সর্বপ্রথমে প্রয়োজন হবে নিম পাতার এটি পাত্রে কিছু নিমপাতা এর মধ্যে সামান্য কিছু পানি দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপরে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে এর মধ্যে থাকা রস ভালো করে বের করে নেব।
নিম পাতার রস এবং ছাঁকনির উপরে থাকা নিম পাতার পেস্ট দুইটা আলাদা করে রাখতে হবে। তারপরে নিমপাতা রসের মধ্যে এলোভেরার জেল দিতে হবে, এরপরে ভিটামিন ই ক্যাপ ইউজ করতে পারেন। এরপরে পুনরায় আবার একটি পাত্রের মধ্যে ভালো করে মিস করতে হবে।
এই উপকরণের বাইরে আর কোন কিছু লাগবে না। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আপনারা ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নেবেন এভাবে কয়েকটা দিন লাগাতে থাকলে দেখবেন যে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব আস্তে আস্তে দূর হয়ে গেছে।
নিম গাছের উপকারিতা-সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আল্লাহ তাআলা অনেক গাছের মধ্যে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন, তার মধ্যে নিম গাছ অন্যতম। নিম গাছের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি এসিড থাকে। যা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। দাঁতের জন্য নিমের ডাল খুবই উপকারী।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে অমুকের ভিতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করতে নিম গাছ খুবই কার্যকরী। কাটা এবং ছেঁড়া ক্ষতস্থানে যদি নিম গাছের পাতা ডোলে লাগিয়ে দেওয়া যায় তাহলে তা তাৎক্ষণিকভাবে অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
নিম গাছের নিমপাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে তা অনেকদিন ধরে রেখে দেওয়া যায় যা পরবর্তীতে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া নিম পাতা ব্যবহারের ফলে চুল শক্ত হয় ও রুক্ষ থাকলে তা কমে যায় এবং চুল গজাতে সাহায্য করে।
নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা-সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত
সব ধরনের নিম পাতার রস খাওয়া যাবে না নিমপাতা সাধারণত এক ধরনের হয়ে থাকে মোটা আর এক ধরনের হয়ে থাকে চিকন। নিরপদে রস খেতে হলে আপনাদেরকে চিকন পাতা নিতে হবে এবং চিকন নিম পাতার ঔষধি গুন অনেক বেশি।
গাছ থেকে নিম পাতা সংগ্রহ করার পরে ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে আপনি যদি কাঁচা নিমপাতা খেতে পারেন তাও হবে তো কাঁচা নিম পাতা খেলে তো অনেক তিতা তিতা লাগে যার কারণে অনেকে এভাবে খেতে পারে না।
কিছুদিন পাতা বেটে ভালোভাবে রস বের করে দুই তিন চামচ আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন, তাহলে দেখবেন দুই থেকে তিন সপ্তাহের ভেতর আপনার স্কিনের বিভিন্ন যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাচ্ছে।
নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা-অবিশ্বাস্য হলেও সত্য
নিম পাতা জীবাণু নাশক হিসেবে কাজ করে তাই নিম পাতা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। আপনি যদি এভাবে প্রতিদিন নিমপাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করেন হালকা কুসুম গরম পানিতে তাহলে দেখবেন যে আপনার যে সমস্ত ডিজিজ থাকে চর্ম এলার্জি বিভিন্ন রকম হতে পারে।
এগুলো ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে। চিকেন পক্স হলে নিমপাতা দিয়ে গোসল করলে তার দ্রুত ভালো হয়ে যায়। আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে তাকে ঘাঁ হয়ে থাকে সে ঘাঁ দূর করতে নিমপাতা ব্যবহার অপরিহার্য। নিম পাতা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করলে গায়ের দুর্গন্ধ থাকলে সেই দুর্গন্ধ দূর হয়।
এভাবে প্রতিদিন আপনি যদি নিমপাতা মিশানো পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে আপনার শরীরে উপস্থিত যে ব্যাকটেরিয়া গুলো থাকে তা মারা যায়। তা নিয়মিত গোসল করার সময় গোসলের পানিতে নিমপাতার ব্যবহার করতে পারেন।
পরিশেষে
প্রিয় বন্ধুগণ আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিমপাতার উপকারিতা ও এর গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন পাশাপাশি আমি আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন।
এ ধরনের আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের পাশে থাকুন। সবসময় আমি আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url