৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়-এই পদ্ধতি ১০০% কার্যকর | Rahul IT BD

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়-এই পদ্ধতি ১০০% কার্যকর

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই আপনাদের চুলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভুগছেন, তাই আপনাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে ৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়, ছেলেদের চুল ঘন করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় এবং চুল মোটা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়-এই পদ্ধতি ১০০% কার্যকর
আপনারা যারা চুলের এই সমস্যার সমাধানের উপায় জানতে আগ্রহী, তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম।

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুগণ চুল আমাদের চেহারার ও সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়। আমাদের প্রত্যেকের কাছে চুলের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই চুলের গুরুত্ব জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ করছি। এই আর্টিকেলে চুলের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়-এই পদ্ধতি ১০০% কার্যকর

পেয়ারার পাতার সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে আপনার ছোট চুল হবে অনেক লম্বা। আমি জানি এটা বিশ্বাস করতে অনেকেরই অনেক কষ্ট হবে। এই মিশ্রণটির অনেক উপকারী দিক রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবেনা। যেমন চুল পড়া বন্ধ করে, চুল লম্বা করে তারপর মাথার ত্বকের ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করে।

তাছাড়া এই উপাদানে কোন ক্ষতি নেই। মিশ্রণটি তৈরি করতে প্রথমে প্রয়োজন হবে এক মুঠো পেয়ারার পাতা তারপর লাগবে দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল তারপরে লাগবে দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস। প্রথমে ২০ থেকে ২৫ টি পেয়ারার পাতা নিতে হবে এবং বেটে পেস্ট তৈরি করতে হবে। 

তারপরে দুই থেকে তিনটি পেঁয়াজ বেটে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে এবং পেস্ট থেকে রস বের করে ফেলুন। এরপরে পেঁয়াজের রস, পেয়ারা পাতার বেস্ট এবং নারিকেল তেল নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণটি আপনার মাথার তালুতে ভালো করে লাগিয়ে নিন। 


মিশ্রণটি মাথাতে দেয়া হলে ভালো করে দুই থেকে তিন মিনিট আঙ্গুল দিয়ে মেসেজ করতে হবে। এই মিশ্রণটি ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের জন্য মাথায় রেখে দিতে হবে তারপরে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে তিন থেকে চারবার লাগানো যেতে পারে।

আবার ৭ দিনে ভাতের মাড় ব্যবহার করে চুল লম্বা করা যেতে পারে। ভাতের মাড় প্রথমে আপনার মাথায় ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে তারপরে এটি কয়েক মিনিট ধরে আঙ্গুল দিয়ে ভালো করে মেসেজ করে নিতে হবে। এই মেসেজ করার ফলে রক্ত চলাচল দ্রুত বৃদ্ধি পায় যার ফলে চুল লম্বা হতে সাহায্য করে। 

এ পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করার পূর্বে অবশ্যই চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিবেন যাতে কোন ময়লা না থেকে থাকে। সপ্তাহে তিন দিন এভাবে ব্যবহার করতে পারেন প্রতিবার ব্যবহারের সময় এক ঘন্টা করে দিয়ে রাখবেন পরে আবার চুলগুলো ধুয়ে ফেলবেন।

ছেলেদের চুল ঘন করার উপায়-স্বপ্ন নয় সত্যি

ছেলেদের চুল ঘন করার জন্য বাড়িতে বসে অর্থাৎ ঘরোয়া পরিবেশে কম খরচে চুল ঘন করা সম্ভব। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তার রেজাল্ট দারুন ভাবে পাওয়া যাবে। তাই এই প্রক্রিয়াটির জন্য আপনাদের একটি ডিমের প্রয়োজন হবে এবং সামান্য কিছু নারিকেল তেলের প্রয়োজন হবে। 

আমাদের চারপাশে খুব সহজেই মুদিখানার দোকানে এগুলো পাওয়া যায় এবং খুবই কম খরচে  পাওয়া যায় এর জন্য বেশি পয়সা খরচ করতে হয় না। প্রথমে ডিমটিকে একটি পাত্রে ভেঙে ঢেলে দিতে হবে তারপরে এক চা চামচ নারকেল তেল ভালো করে তার উপরে ফেলতে হবে। 

তারপরে খুব ভালো করে মিক্স করতে হবে এবং ভালো করে মিক্স হয়ে যাওয়ার পরে চুলের গোড়াতে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা চুলকে শক্ত মজবুত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে পাশাপাশি চুল ঘন করতেও ভীষণ সাহায্য করবে। 


আর নারকেল তেল খুবই উপকার করবে চুলের গোড়াকে মহেশ্বার করে রাখতে এবং তার মধ্যে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং ফ্যাটি এসিড যা খুব তাড়াতাড়ি চুল বড় হতে সাহায্য করবে পাশাপাশি চুলকে স্মুথ করতে ঘন করতে সাহায্য করবে। 

এরপরে এক থেকে দুই মিনিট ভালো করে মেসেজ করে লাগিয়ে নেওয়ার পর প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। যার ফলে সেটি শুকিয়ে যাবে চুলে তারপরে শ্যাম্পু নিয়ে চুলকে ভালো করে ওয়াশ করে নিতে হবে। তখনই আপনি আপনার চুলের কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। 

বেস্ট রেজাল্ট এর জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার এই পদ্ধতিতে চুলে লাগিয়ে নিতে হবে এর ফলে চুলের অনেক গ্রোথ হবে চুল অনেক ঘন হবে পাশাপাশি চুল সিল্কি হবে আপনার হেয়ার লুক সম্পূর্ণ চেঞ্জ হয়ে যাবে।

চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় ১০০% কার্যকরী

যেকোনো ধরনের বাদাম যেমন চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম ইত্যাদি এ সমস্ত বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যা চুলের গোড়া সতেজ রাখতে আর চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। এই ওমেগা-৬ ফ্যাট আমাদের শরীরে নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না, খাবার থেকে নিতে হয়। 

এটার অভাবে মাথার চুল পড়ে যায় চুলের রং হালকা হয়ে যায়। তাই প্রতিদিনের নাস্তায় কিছু বাদাম রাখতে পারেন। তবে অনেক পরিমাণে খাওয়া যাবে না তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। হলুদ এবং কমলা রঙের সবজি এবং ফলমূল ক্ষার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যেমন মিষ্টি আলু, গাজর, আম, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া এগুলো ভিটামিন এতে ভরপুর। 

চুলের ফলিকল, অর্থাৎ চুলের গোড়া যেখান থেকে চুলটা বড় হয়, সেটা ঠিক মত কাজ করার জন্য দরকার ভিটামিন এ। আর সেটার খুব ভালো উৎসাহ হল এই হলুদ আর কমলা রঙের ফল এবং সবজি। দিনে যতখানি ভিটামিন এ দরকার আধা কাপ গাজরে তার অর্ধেকের বেশি হয়ে যায়। 

তাই দিনে কিছু হলুদ ফল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। প্রচলিত একটি ধারণা আছে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটের জন্য সামুদ্রিক মাছই খেতে হবে। ব্যাপারটা কিন্তু তেমনটা নয় আমাদের দেশি মাছ আছে যেমন-ইলিশ, কই, মলা, চাপিলা এগুলোতেও ওমেগা-৩ ফ্যাট আছে। 


এসব যেহেতু প্রোটিনের ভালো উৎসব তাই চুল পড়া বন্ধ করতে ঘরোয়া উপায়ে বা প্রাকৃতিক উপায়ে সাহায্য করে পাশাপাশি চুল ঘন ও মজবুত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সুস্থ চুলের জন্য ডিম আপনার খুব ভালো বন্ধু হতে পারে। 

যেহেতু আমাদের চুল শর্করা বা ফ্যাটে তৈরি না, চুল প্রাই পুরোটাই প্রোটিনে তৈরি। আর আমরা গবেষণা থেকে নিশ্চিত জানি যে খাবারে প্রোটিনের অভাব হলে চুল পড়ে যায় কিন্তু আমাদের অনেকের খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন থাকে না। 

কারণ আমরা সাধারণত ভাত রুটি বেশি খাই, তাই সুন্দর চুলের জন্য খাবারের তালিকায় ডিম রাখতে হবে পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে নিয়মিত তাহলে দেখবেন যে চুল পড়া বন্ধ হয়ে গেছে।

চুল মোটা করার উপায় অবিশ্বাস্য হলেও শতভাগ কার্যকরী

জবা ফুলের তেলঃ অয়েল ম্যাসাজের কারণে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় ফলে ফলে মাথায় নতুন চুল গজায়। জবা ফুলের তেল আমাদের জন্য আশীর্বাদ বলতে পারেন। এই তেল লাগালে আমাদের চুল পড়া বন্ধ হবে চিরতরে পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। 

ঘন কালো মোটা চুল পেতে বানিয়ে ফেলতে হবে জবা ফুলের তেল। উপকরণ- লাল জবা ফুল ১২ থেকে ১৫ টি, কারি পাতা এক কাপ, নারিকেল তেল ৫০০ গ্রাম। এবার ফুলের পাপড়ি গুলো ও কারি পাতা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার পাত্রে নারিকেল তেল গরম করে তাতে জবা ফুলের পাপড়ি ও কারি পাতা সাবধানে দিয়ে আজ কম করে নাড়তে হবে। 

যাতে পুড়ে না যায়। 10 মিনিট কম আছে দাঁড়ার পর চুলা বন্ধ করতে হবে। তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি পাত্রে ছেঁকে নিতে হবে। প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে ঘরের মধ্যে তেলটি লাগিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে স্কেলপে মেসেজ করতে হবে।

আদার তেলঃ আদা বাজারে সব জায়গায় পাওয়া যায়। আধার তেল চুলের গুচ্ছ বানানোর জন্য খুবই কার্যকারী। চুল গোড়া থেকে পাতলা হয়ে গেলে সমানে পড়তে শুরু করে কিন্তু আদার তেল চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল গজাতে সাহায্য করে। 

উপকরণ-২০০ গ্রাম নারিকেল তেল, ৫০ গ্রাম আদা। আদা ছিলার পরে ভালো করে ধুয়ে ছোট টুকরো করে কেটে একটু থেঁতলে নিতে হবে, এবার একটি পাত্রে নারিকেল তেল গরম করুন। আদার টুকরো গুলো ওতে দিয়ে দিতে হবে। খুব কম হিটে ২০ থেকে ২৫ মিনিট ধরে তেল নাড়তে হবে। 

এতেই আদার সম্পূর্ণ রস তেলের সাথে মিশে যাবে। ২৫ মিনিট পর চুলা বন্ধ করতে হবে ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি পাত্রে ছেঁকে নিতে হবে। প্রতিদিন রাতে শুয়ার আগে এই তেল আপনার স্কেলপে মেসেজ করতে হবে। তারপর সকালের শ্যাম্পু করে নিতে হবে এভাবে এক মাস চুলে লাগালে চুল ঘন এবং মোটা হবে।

অ্যালোভেরা তেলঃ এই তেল আমাদের চুল গজানোর সাথে সাথে চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে। উপকরণ-একটি অ্যালোভেরার পাতা, হাফ কাপ নারিকেল তেল। এলোভেরা পাতা সমান দুই ভাগে কেটে তার ভেতর থেকে সমস্ত জুস বের করে নিতে হবে। একটি পাত্রে নারিকেল তেল গরম করতে হবে। 

তেল গরম হয়ে গেলে হিট কমিয়ে খুব সাবধানে এলোভেরা জেল তেলে ঢালতে হবে। এবার পাঁচ থেকে সাত মিনিট ক্রমাগত তেল রাখতে হবে। দেখবেন অ্যালোভেরা জেল তেলের সাথে মিশে গেছে। 

তেল ঠান্ডা হলে একটি পরিষ্কার বোতলে পুরোটা রাখুন এই তেল দুই সপ্তাহ ভালো থাকবে রাতে শোবার সময় প্রয়োজন মত তেল একটি বাটিতে ঢেলে গরম করে মেসেজ করতে হবে।

আমলকি তেলঃ চুলের উপকারে আমলকি তেলের আমার অনেক পুরনো। উপকরণ-এক কাপ আমলকির জুস এক কাপ নারিকেল তেল। আমলকি ভালো করে ধুয়ে একটি পাত্রে খ্যাতলা করে বীজগুলো বের করে নিতে হবে, এর পরে অল্প জল দিয়ে ছাকনি দিয়ে সেকে জুস বের করে নিতে হবে। 

একটি পাত্রে নারিকেল তেল গরম করে তাতে খুব সাবধানে আমলকির জুস মেশাতে হবে, কম হিটে পাঁচ থেকে সাত মিনিট না হলে দেখবেন জল শুকিয়ে গিয়ে তেলের রং বাদামী হয়ে গেছে। এবার চুলা বন্ধ করতে হবে ঠান্ডা হলে একটু বোতলে ঢেলে রাখতে হবে প্রতিদিন রাতে এই তেল আপনার স্কেলপে মেসেজ করতে হবে।

পেঁয়াজের তেলঃ খুব কম সময়ে এই তেল  আপনার চুলকে ঘন মোটা করতে সাহায্য করবে। উপকরণ- দুইটি পেঁয়াজ, চারটি রসুনের কোয়া এবং এক কাপ নারিকেল তেল। পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। রসুনের কুয়াগুলো ছিলে নিতে হবে এরপর নারিকেল তেল একটি পাত্রে গরম করে তাতে রসুন ও পেঁয়াজের স্লাইস গুলো দিন। 

এবার কম হিটে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না পেঁয়াজ বাদামের রং না হচ্ছে ততক্ষণ ক্রমাগত তেল নাড়তে থাকুন। ১৫ মিনিট পর চুলা বন্ধ করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি পাত্রে ছেঁকে রেখে দিতে হবে। প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এই তেল আতার স্কেলপে মেসেজ করুন এবং সকালের আগে হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন আমি আশা করি আপনারা চুলের নানারকম সমস্যা সমাধানের উপায় বুঝতে পেরেছেন এবং আপনারা উপকৃত হয়েছেন। 

এমন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন সবশেষে আমি আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url