লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় এবং লেবুর উপকারিতা-সম্পর্কে জেনে নিন | Rahul IT BD

লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় এবং লেবুর উপকারিতা-সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে লেবুর উপকারিতা, ওজন কমানোর উপায়, খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা, লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা এবং কুসুম গরম পানিতে লেবু খেলে মেদ কমে কিনা সেই সম্পর্কে ব্যাপকভাবে আলোকপাত করা হয়েছে।
লেবুর উপকারিতা এবং লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
আপনারা যারা এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলে সুস্বাগতম

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুগণ লেবুর পুষ্টিগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। করনাকালীন সময়ে আপনারা সবাই শুনেছেন বারবার বেশি বেশি লেবু খাবার কথা বলা হয়েছে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে। লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকার কারণে লেবু আমাদের শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে। 

লেবু কেন আমাদের খাওয়া উচিত, কোন কোন কারনে, আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের খাবারের সাথে লেবু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবো। এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

লেবুর উপকারিতা-সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন শতভাগ কার্যকর

সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা যারা লেবু হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খায় বা এর মধ্যে একটু মধু মিশিয়ে খায়, এটা কিন্তু ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে কাজ করে। এটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আমাদের শরীরের মধ্যে যে টক্সিনগুলো থাকে তা রিমুভ করে দেয়। 

এছাড়া আমাদের শরীরে থাকা ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়া এগুলো রিমুভ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে লেবু। আমাদের শরীরে যাদের ওজন বেশি বা অতিরিক্ত চর্বি রয়েছে সেই চর্বি কমাতে লেবু কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাইলে লেবু ও মধু মিশ্রিত পানি ওজন কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। 

শুধুমাত্র লেবু পানি খেয়ে যে আপনার উপকার আসবে ব্যাপারটা এমন নয় আপনাকে এর পাশাপাশি ডায়েট মেইনটেইন করতে হবে। প্রতিদিন সকালে হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা যেমন শরীরের জন্য অনেক উপকারী তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
 

কারণ লেবুর ভিটামিন সি যেটা খুবই শক্তিশালী আন্টি অক্সিডেন্ট যার ফলে আমাদের স্কিন থাকবে অনেক সুন্দর। ব্রণের সমস্যা থাকলে তা দূর হবে পাশাপাশি স্কিন থাকবে অনেক ঝলমলে এবং চকচকে। যাদের ত্বক অনেক বেশি ওয়েল থাকে তাদের ত্বকে অতিরিক্ত ওয়েল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। 

ঠান্ডা জনিত সমস্যা আমাদের প্রায় সবারই হয়ে থাকে বিশেষ করে শীতকালে ঠান্ডা কাশি সর্দি এগুলো কমাতে লেবু মধুর পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যার কারণে আমাদের প্রতিনিয়ত খাবারের সাথে লেবুখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। 

এছাড়াও আমাদের দৈনন্দিন কাজের চাপে আমাদের শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই প্রতিনিয়ত লেবু পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আমাদের শরীরে থাকবে প্রচুর এনার্জি। তাই এনার্জি বৃদ্ধিতে লেবু পানির গুরুত্ব অনেক বেশি। এভাবে আমরা প্রতিনিয়ত খাবারের সাথে লেবুক খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আমরা অনেক বেশি উপকৃত হব।

লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়-এই পদ্ধতি দারুন কার্যকর

ওজন কমাতে লেবু তখনই কাজ করবে যখন আপনি প্রপার একটা ডায়েটের মধ্যে থাকবেন। আপনি ওজন কমানোর জন্য প্রতিনিয়ত লেবু ও মধু মিশ্রণ করে খাচ্ছেন। আবার দেখা যাচ্ছে সারা দিনে আপনি বাইরের অনেক বাজে খাবার গ্রহণ করছেন। 

আপনি যখন একটি ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করবেন অর্থাৎ আপনি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনাকে বাইরের ফুড খাওয়া যাবে না। এটা থেকে সম্পূর্ণ বিরতি থাকতে হবে। 


মানে একসাথে দুইটা কাজ হতে পারে না, আপনি একদিকে ওজন কমাতে চাচ্ছেন লেবু মধু খেয়ে আবার অন্যদিকে বাজে খাবার খাচ্ছেন। তাই আপনাকে প্রথমে ডিটারমাইন্ড হতে হবে যে আমি আমার ওজন কমাতে চাই সঠিক নিয়মের মধ্যে থেকে। 

যারা ওজন কমাতে চায় তাদের একটি লক্ষ্য থাকে যে আমরা খুব দ্রুত ওজন কমাবো যার কারণে খুব বেশি পরিমাণে লেবু -মধু খেয়ে থাকে। এর যেমন উপকারী দিক আছে তেমনি অতিমাত্রায় গ্রহণ তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

স্বাভাবিকভাবে এটা খাবার নিয়ম হলো এক গ্লাস পানির মধ্যে দুই চামচ লেবুর রস এর সাথে হাফ চামচ মধু সুন্দরভাবে মিশিয়ে খেলে আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো পাশাপাশি আপনার শরীরের বাজে ফ্যাট এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করবে। 

এক্ষেত্রে মধু পিওর কিনা সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে কারণ মধু বাজারে অনেক ভেজাল পাওয়া যায়, অনেক মধুতে চিনি মিশ্রণ থাকে তাই অর্গানিক মধু খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে উপকার বেশি পাবেন।

খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা-শতভাগ কার্যকরী

অনেকেই পেটের চর্বি ঝরানোর জন্য লেবু খেয়ে থাকে। আপনি যদি সকালবেলায় খালি পেটে লেবু খেতে পারেন তাহলে সেটা সবথেকে বেশি উপকারী। লেবুর মধ্যে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। 

লেবুর মধ্যে প্রচুর ক্যালরি থাকে, প্রোটিন থাকে, সুগার থাকে, ফাইবার, পটাশিয়াম সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। লেবুর মধ্যে সাইট্রিক এসিড থাকে যা আমাদের লিভারে কিডনির ভেতরে যদি কোন পাথর থাকে সেটা হওয়া থেকে প্রিভেন্ট করে অর্থাৎ বাধা প্রদান করে। 

তাই প্রতিনিয়ত খাবারের সাথে আমরা লেবু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আমাদের কি দিতে পাথরের সম্ভাবনা থাকবে না। এছাড়াও লেবুর মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রক্তের মধ্যে যে ফ্যাট থাকে প্রতিনিয়ত লেবু খাওয়ার ফলে রক্তের ফ্যাট গুলোকে কমাতে সহায়তা করে। 

তারপরে লেবুর মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় আমাদের শরীরের মধ্যে ইউমিনিটি বুস্ট হয়। অর্থাৎ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

লেবু পানির উপকারিতা-সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন ১০০% কার্যকর

লেবু পানি মূলত এটা ফ্যাট বার্নিং জুসের মতো কাজ করে। আপনি যখন প্রপার ডায়েটের মধ্যে থাকবেন তখন লেবু পানির এই জুস আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে। এটা আপনার ফ্যাট বার্ন করবে, আপনার ওজন কমাবে এবং সেটা আপনার স্কিনের জন্য খুব ভালো হবে। 

হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাবেন। অনেকেই লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকে সেটাও অনেক ভালো তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে মধু এভয়েড করাটাই ভালো। আর যদি খুব করে খেতে ইচ্ছা করে তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খাওয়া উচিত। 

এই লেবু পানি আপনি সকালে ঘুম থেকে খালি পেটে খেতে পারেন সেটা শরীরের জন্য হবে খুব উপকারী এর পাশাপাশি দুপুরে খাবারের আধাঘন্টা আগেও খেতে পারেন। আবার লিবো পানি আপনার খাবারের ডাইজেস্ট খুব ভালো করবে। 

অনেকেই আছে শুধু রাতে লেবু পানি খেয়ে থাকে আর কিছুই খায় না তো যার ফলে আপনার অনেক এসিডিটি হতে পারে। এক্ষেত্রে লেবু পানি খাওয়ার সঠিক সময় হল সকাল বেলাতে খালি পেটে খেতে পারেন আবার দুপুর বেলাতে খাওয়ার আধা ঘন্টা আগেও খেতে পারেন।

কুসুম গরম পানিতে লেবু খেলে মেদ কমে-যেভাবে করবেন

প্রিয় বন্ধুরা প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে যে কি কারনে আপনার মেয়ে বেড়েছে। এই বিষয়টা আপনাকে প্রথমে আইডেন্টিফাই করতে হবে। কুসুম গরম পানিতে লেবু খেলেই যে আপনার মেদ কমে যাবে ব্যাপারটা কিন্তু এমনটা নয়, এতটা সহজ নয়। 

এটা আপনার অতিরিক্ত চর্বিকে সফ্ট করবে, বার্ন করতে পারে। আপনি কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করছেন সারাদিনে এই ব্যাপারটা আপনার জানাটা খুব জরুরী। আপনি চাচ্ছেন যে কুসুম গরম পানি খেয়ে আপনার শরীরের মেদ ঝরাতে আবার অন্যদিকে আপনি সারাদিনে এমন খারাপ ফুড খাচ্ছেন বা বাইরের খাবার খাচ্ছেন। 


অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার বাজে তেল দিয়ে রান্না করে খাচ্ছেন এ সমস্ত খাবার খেলে আপনার শরীরে বাজে ফ্যাট তৈরি হবে। আর বাজে ফ্যাট শুধুমাত্র কুসুম গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেলে যাবে ব্যাপারটা কিন্তু এতটা সহজ নয়।

ব্যাপারটা আপনাকে বুঝতে হবে। তাই আপনি যদি মেদ কমাতে চান গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে সবকিছু মিলিয়ে আপনার মেদ কমাতে সহায়তা করবে।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়েছেন আমি আশা করি আপনারা লেবুর উপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন পাশাপাশি উপকৃত হয়েছেন। 

এ ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন। সবশেষে আমি আপনার এবং আপনাদের পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url