কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত পড়ুন | Rahul IT BD

কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত পড়ুন

 প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলটিতে কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং কুষ্টিয়া জেলাকে কেন সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়, সেই বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।  এই সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান
কুষ্টিয়া জেলার বুকে অনেক গুণী মানুষ এর জন্ম হয়েছে। যারা শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতি, নাট্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতির রাজধানী বলা হয়ে থাকে। এ জেলার মানুষের ভাষা অনেক সুন্দর। এই পোস্টটিতে কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্র ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলাতে অনেকগুলো নদী রয়েছে পদ্মা নদী, মাথাভাঙ্গা নদী, গরাই নদী, সাগরখালি নদী, কালিগঞ্জ নদী।

কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

কুষ্টিয়া জেলা খুলনা বিভাগের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের একটি অন্যতম বড় জেলা শহর। কুষ্টিয়া জেলা সাংস্কৃতি ও সাহিত্যের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। এখানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক স্মৃতি বিজড়িত স্থান রয়েছে। বাউল সম্রাট লালনের মাজার রয়েছে। কুষ্টিয়া জেলার কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম তুলে ধরা হলোঃ


লালন শাহ সেতু
কুষ্টিয়া জেলা থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে হার্ডিং- ব্রিজের পাশে পদ্মা নদীর উপরে এটি অবস্থিত। এর একপাশে ভেড়ামারা থানা, অপর পাশে পাকশি, যেটি ঈশ্বরদী থানার মধ্যে পড়ছে।


লালন শাহের মাজার
ফকির লালন শাহের মাজার এটা কুষ্টিয়া জেলা শহরেই অবস্থিত। আমাদের কুষ্টিয়া জেলার লালন সাঁইজি শুধু কুষ্টিয়াবাসীর গর্ব নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষের অত্যন্ত গৌরবের। আমাদের দেশে যে কয়েকজন নামকরা দার্শনিক রয়েছেন, তাদের মধ্যে আমাদের অহংকার ফকির লালন অন্যতম।
ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ
কুষ্টিয়া জেলা শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ এর অবস্থান। এটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।


রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি এবং জাদুঘর
এটি কুষ্টিয়া জেলার, কুমারখালী উপজেলার, শিলাইদহ ইউনিয়নের, খোরশেদপুর গ্রামে অবস্থিত। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক একটি জায়গা। এখানে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি রয়েছে পাশাপাশি একটি জাদুঘর রয়েছে।
মীর মোশাররফ হোসেনের বসত ভিটা
এটি কুষ্টিয়ার লাহিনিপাড়া গ্রামে, তিনি এক সময়কার জনপ্রিয় নাট্যকার, উপন্যাসিক ছিলেন। এখানে তার বসত ভিটা রয়েছে অতি পুরানো। সে সময়ে জমিদার দর্পণ নাটকের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের মর্যাদা লাভ করেন।

টেগর লজ
কুষ্টিয়া জেলা শহরের মিলপাড়ায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিময় লাল রঙের দোতলার বিভিন্ন কারুকার্যখচিত টেগর লজ অবস্থিত।

কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি কুষ্টিয়া অবস্থিত এবং কুষ্টিয়ার সর্বপ্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়। দুটি মেডিকেল কলেজ রয়েছে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হসপিটাল অন্যটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হসপিটাল। 

সরকারি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল রয়েছে একটি।বেসরকারি মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) রয়েছে পাঁচটি। কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে নয়টি সরকারি কলেজ রয়েছে।

কুষ্টিয়া ভ্রমনের জন্য সেরা কিছু পর্যটন স্থান সম্পর্কে জেনে নিন

কুষ্টিয়া জেলা শহরটি গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত। পাশাপাশি পৃথিবীর অন্যতম বড় পদ্মা নদী, এই নদীটি কুষ্টিয়া জেলার গা ঘেঁষে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর উপর হার্ডিং ব্রিজ এবং লালন শাহ সেতু দুইটা পাশাপাশি অবস্থিত। খুবই চমৎকার একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। কুষ্টিয়া জেলাতে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। নিচে কয়েকটি স্থানের নাম উল্লেখ করা হলোঃ


  • জুগিয়া তাতি পাড়া
  • ঠাকুর লজ কুষ্টিয়া
  • ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ কুষ্টিয়া
  • পদ্মা নদী কুঠিবাড়ি কুষ্টিয়া
  • গড়াই নদী
  • শিলাইদহ কুঠিবাড়ি
  • চাপাইগাছি বিল

কুষ্টিয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কুষ্টিয়া ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত

আমাদের কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর এই তিনটি মিলে একটি বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা ছিল। ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর আলাদা জেলা হিসেবে পরিচিতি পায়। কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতির রাজধানী বলা হয়। 
এই জেলার মানুষের ভাষা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা থেকে সবচেয়ে সুন্দর। কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন- লালন শাহের মাজার, মোহিনী মিল, ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ, শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি, টেগর লজ।

কুষ্টিয়া জেলাকে কেন সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়

কুষ্টিয়া জেলাতে বিভিন্ন গণ্যমান্য এবং গুণী ব্যক্তিদের জন্ম হয়েছে, যারা দেশ এবং দেশের বাইরে সংগীত, সাহিত্য, নাট্য ইত্যাদি বিভিন্ন সাংস্কৃতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। আমাদের দেশের সংগীত ও সাহিত্যে অনেক অবদান রেখেছে। 

এজন্য কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতির রাজধানী বলা হয়ে থাকে। এখানে জারি, বাউল, লোকগীতি, যাত্রা, পালা গান চর্চা করা হয়। 
তাই সাহিত্য চর্চাতেও এই জেলা বেশ অগ্রসর। এই জেলাতে জীবনের একটি বড় সময় কাটিয়েছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, কাঙ্গাল হরিনাথ, মীর মোশারফ হোসেন।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ এই আর্টিকেলটিতে কুষ্টিয়া জেলার ইতিহাস, সাংস্কৃতি, সাহিত্য, দর্শনীয় স্থান বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আমি আশা করি, এই আর্টিকেলটি পড়ে এই জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে পেরে, কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। আর বেশি কিছু না বলে, আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url