বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম শতভাগ কার্যকারী | Rahul IT BD

বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম শতভাগ কার্যকারী

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই পোস্টটিতে বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম, ব্রেন ভালো হওয়ার খাবার, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। সে বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকলে এই আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম।
বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম
তাহলে আর দেরি না করে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।

ভূমিকা

এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে বাচ্চাদের যত্নের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে থাকবো। আশা করছি আজকের এই পোস্টটি অনেক বেশি ইনফরমেশন হবে এবং আপনি যদি ভালোভাবে আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আপনি আপনার বাচ্চার আরও বেশি টেক কেয়ার করতে পারবেন।

বাচ্চাদের ব্রেন ভালো হওয়ার খাবার সম্পর্কে কার্যকরী উপায় জেনে নিন

আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করে নির্দিষ্ট নির্দিষ্ট খাবার দিয়ে। ব্রেন ভালো কাজ করার কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে। একটি বাচ্চার পুষ্টি চাহিদা গর্ভ অবস্থায় থেকে তৈরি হয়। কাজে একটি গর্ভবতী মায়ের খাবার কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বুঝতে পারছেন। 

গর্ভাবস্থা থেকেই একজন মা যখন ভিটামিন মিনারেলস প্রোটিন জাতীয় খাবার প্রচুর গ্রহণ করবে, তার সন্তান গর্ভপাত করবে সেই পুষ্টি চাহিদা নিয়ে। বাচ্চা জন্ম নেয়ার পরেও মাকে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে তা না হলে বাচ্চা পুষ্টিকর খাবার তার মায়ের বেস্ট ফিডিং এর মাধ্যমে পাবেনা। 


কিছু স্পেসিফিক খাবার বাচ্চার মায়ের খাবারের তালিকা অবশ্যই রাখতে হবে যাতে বাচ্চার ব্রেনের সুস্থ ডেভেলপমেন্ট হয়। আমরা জানি যে মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই বাচ্চার ব্রেনের ডেভেলপমেন্ট অনেকটা নির্ভর করে মায়ের দুধের পুষ্টিগুণের মাত্রা কতটা তার উপর। 

যে সমস্ত খাবারের আয়রন প্রোটিন ভিটামিন ডি মিনারেলস থাকে সে সমস্ত খাবার গুলোও মাকে গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে দুধ, ডিম, বাদাম বা বাদাম জাতীয় খাবার গুলো মায়ের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। ব্রেনের পর্যাপ্ত পরিমাণ ডেভেলপমেন্ট হয় পাঁচ বছর পর্যন্ত। 

এই সময় পর্যন্ত বাচ্চার ক্যালরি চাহিদা আমাদের ঠিকমতো পূরণ করতে হবে। বাচ্চার খাবারের মধ্যে স্বাদ থাকতে হবে যাতে সে খাবারটা ইনজয় করে খেতে পারে। বাচ্চা স্বাভাবিক খাবারের সাথে সাথে কিছু খাবার ইনক্লুড করতে হবে আজ এমন এক বছর পর থেকে বাচ্চাকে মধু খাওয়ানো যেতে পারে।

এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে এবং এনার্জি লেভেল থাকে বুষ্ট আপ করে। বাচ্চাকে যখন আপনি আলাদা করে দুধ খাওয়াবেন তখন আপনি মধু মিক্স করতে পারেন। চিনির পরিবর্তে মধু মিষ্টি যত খাওয়ার হিসেবে বাচ্চার মুখে দিতে পারেন। 

অনেক ড্রাই ফুড রয়েছে যেগুলো বাচ্চার খাবারের তালিকায় রাখলে তাদের ব্রেইনটা অনেক তীক্ষ্ণ ও ধারালো হয়। যেমন- কিসমিস তারপরে খেজুর রয়েছে, এই খাবারগুলোকে যদি বাচ্চাকে ছোটবেলা থেকে অভ্যাস করাতে পারেন তাহলে দেখবেন যে তার স্মৃতিশক্তি ডেভলপ করবে। 


পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে এসে অনেক স্ট্রেস নিলেও তার ব্রেনের চাপ কম পড়বে। প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ডিম রাখতে হবে সেটা ডিম পোচ অথবা সিদ্ধ অথবা অমলেট হতে পারে। সাথে কমপক্ষে চার দিন ডিম খানানোর চেষ্টা করবেন অল্প তেল দিয়ে ভাঁজার চেষ্টা করবেন। 

ডিম থেকে বাচ্চা ভিটামিন এ, ডি এবং প্রোটিন পেয়ে যাবে। যাদের মেমোরি ডেভেলপ করার জন্য অনেক বেশি কার্যকর।

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

বাচ্চাদের যে সমস্ত খাবার গুলো নিয়মিত খাওয়ালে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে সে সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো। যে সমস্ত মায়েরা গর্ভাবস্থায় প্রাকৃতিক এবং তাজা খাবার খেয়েছে সে সমস্ত মায়ের গর্ভে থেকে যে সন্তান জন্ম নেয় সাধারণত সে সমস্ত বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। 

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এটি এমন একটি খাবার যা বাচ্চাদের ব্রেনের স্বাভাবিক বিকাশ এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কারণ ট্রেনের যে ধূসর পদার্থ থাকে তার সরকার 90 ভাগই হলো ফ্যাট এবং ব্রেন নিজে নিজেই সেটা তৈরি করতে পারে না। 

খাবারের মাধ্যমে বাইরে থেকে সেটা জোগাতে হয়। তাই ওমেগা থ্রি-ফ্যাটি এসিড এর অভাব দেখা দিলে বাচ্চার মধ্যে দেখা দিতে পারে অনিশ্চয়তা বোধ, অস্থির, ভীত অবস্থা দেখা দিতে পারে। এই ওমেগা থ্রি ফাটি এসিড পাওয়া যায় তৈলাক্ত মাছে, প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা মাংসে, উদ্ভিজ্জ তেল, বীজ এ সমস্ত খাবার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। 

বাচ্চাকে খাওয়ান পাশাপাশি নিজেও খেতে পারেন। তাদের ব্রেন হবে সুগঠিত। এটি একটি ভালো ফ্যাট, ভালো ফ্যাট যেমন ব্রেনের উপকার করে তেমনি খারাপ ফ্যাট ব্রেনের খুব ক্ষতি করতে পারে।

বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম শতভাগ কার্যকারী

বাচ্চাদের খাবারে প্রচুর পরিমাণে মিল্ক, ভেজিটেবলস এবং ফলমূল রাখতে হবে। এছাড়া এক্সটার্নাল কিছু যত করতেই হয় যাতে বাচ্চাদের ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়। একেবারে ফর্সা হয়ে যাবে ব্যাপারটা কিন্তু এমনটা নয় তবে কিছু যত্ন নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো সম্ভব। 

বাচ্চাদের খাবারে যদি প্রচুর পরিমাণে ফলমূল রাখা হয় তাহলে তাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা টা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। নিম্ন যে ছবিটি দেওয়া আছে আপনারা চাইলে সে ক্রিমটি ইউজ করতে পারেন বাচ্চাদের ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য।
বাচ্চাদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম

এই প্রোডাক্টে ভিটামিন ই এবং হলুদের তেল রয়েছে যা ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। ভিটামিন ডি স্কিনের ড্রইনেস রিমুভ করে। ভিটামিন এ থাকার কারণে বাচ্চার স্কিন এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। 

এই প্রোডাক্টে আরো কিছু ভালো উপাদান রয়েছে সেগুলো হলো অ্যালোবেরা, বাদামের তেল, ধানের তুষ থেকে তৈরি তেল ডাক্তাররা শিশুদেরকে এই প্রোডাক্টটি ব্যবহার করার জন্য সাজেস্ট করে থাকেন। তাই বাচ্চার ফর্সা হওয়ার ক্রিম হিসাবে এই প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন।

বাচ্চাদের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো ১০০% কার্যকার

আসলে বাচ্চার মায়েরা বাচ্চাদের জন্য খুব বেশি চিন্তায় থাকে যে আমার সন্তানের জন্য আমি কি করব কোনটা করলে আমার সন্তান ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে বাচ্চার স্কিন ভালো থাকবে বাচ্চা চকচকে থাকবে এবং কমল নরম থাকবে। বাচ্চাদের জন্য ভালো অলিভ অয়েল নিয়ে কিছু আলোচনা করব, জানতে পোস্টে পড়তে থাকুন।
অলিভ অয়েল
যাদের জিরো থেকে চার পাঁচ বছর বয়সের বাচ্চা রয়েছে তাদের জন্য এই অলিভ অয়েল অনেক ভালো হবে। আপনারা চাইলে আপনাদের বাচ্চাদের শরীরে এই অলিভ অয়েল তেল দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন আশা করি আপনার উপকৃত হবেন।

বাচ্চাদের জন্য কোন তেল ভালো বিস্তারিত জেনে নিন

বাচ্চাদেরকে অনেক ধরনের তেল মাখানোর কথা শুনতে পাওয়া যায়। কেউ বলে সরিষার তেলের কথা আবার কেউ বলে নারিকেল তেলের কথা। ওই সময় দেখা যায় সন্তান জন্ম লাভের পর মুরুব্বীরা সন্তানকে এত পরিমাণ তেল মাখিয়ে দেয় যে তার শরীর টাচ করার উপায় থাকে না। 

তারা কোন উপকারের আশায় যেটা করে সেটা তারা নিজেরাও হয়তো জানে না। এ বিষয়টা যে কোন উপকারে আসে ডাক্তাররা কিন্তু সে সম্পর্কে বলেন না। বর্তমান বাজারে যে সরিষার তেল পাওয়া যায় সেই সরিষার তেলে যদি পেঁয়াজের ঝাঁজ থাকে বাচ্চা চামড়া যে কি হবে তা আসলে বলা কঠিন হয়ে যাবে। 


আমাদের মনে রাখতে হবে যে নবজাতকের চামড়া আমাদের চামড়া থেকে অনেক কমল এবং নমনীয়। একটুতে চামড়া ইনজুরি হতে পারে বা অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন আপনি। এই কাজটা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ তেল না দিলে আপনার বাচ্চার কোন সমস্যা হবে না। 

চেষ্টা করবেন নারিকেল তেল একেবারেই না দেয়ার জন্য তবে বাচ্চাদের যদি তেল দিতেই হয় তাহলে সেক্ষেত্রে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। মার্কেটে অনেক ধরনের তেল পাওয়া যায় আপনাকে ভালো কোম্পানির ভালো ব্র্যান্ডের অলিভ অয়েল তেল জেনে বুঝে তারপরে বাচ্চা শরীরে লাগানো উচিত।

পরিশেষে

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলটিতে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এবং বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন। যদি এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনার কোন কাজে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

এ ধরনের নিয়মিত আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন। সবশেষে আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url