বিআরটি এর ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর- ৬০টি- ২০২৪
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো অনেকেই বিআরটি এর ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর কেমন হয় জানেন না। আজকের এই আর্টিকেলে বিআরটি এর ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়তে থাকেন তাহলে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুগণ আমাদের অনেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার পরেও আমরা ইঞ্জিন চালিত গাড়ি ড্রাইভ করে থাকি। যেটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমি আপনাদেরকে জানাবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিআরটি এর ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর কেমন হয় সেই সম্পর্কে।
বিআরটি এর ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
(১) প্রশ্ন- মোটরযান কাকে বলে?
উত্তর- মোটরযান অর্থ কোন যন্ত্রচালিত যান। যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোন উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।
(২) প্রশ্ন- গাড়ি চালানোর আগে করনীয় কাজ কি কি?
উত্তর- গাড়ির বৈধ কাগজপত্র যেমন-রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, টেক্স টোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুট পারমিট গাড়ির সঙ্গে রাখা।
- গাড়িতে জ্বালানি আছে কিনা পরীক্ষা করা।
- রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কিনা পরীক্ষা করা।
- ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা।
- ইঞ্জিন অয়েলের লেভেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা।
- মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেক ফ্লুইড, ব্রেক অয়েল পরীক্ষা করা।
- গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, চাকার নাট বল্টু টাইট আছে কিনা তা পরীক্ষা করা।
- ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
- অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এবং ফাস্ট এইড বক্স গাড়িতে রাখা।
(৩) প্রশ্ন- গাড়ি চলাকালে কি কি কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয়?
উত্তর- ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট/ব্লু বুক, টেক্স টোকেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট।
(৪) প্রশ্ন- সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো কি কি?
উত্তর- অতি আত্মবিশ্বাস, মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, অননুমোদিত ওভারটেকিং, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।
(৫) প্রশ্ন- গাড়ি সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের করণীয় কি?
উত্তর- আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনের নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।
(৬) প্রশ্ন- আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত?
উত্তর- মোটরসাইকেল এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৭০ মাইল। মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং মাঝারি বা ভারি মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।
(৭) প্রশ্ন- ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত?
উত্তর- পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।
(৮) প্রশ্ন- কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে?
উত্তর- মৃগী রোগ, উন্মাদ-পাগল, রাতকানা রোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ পানকারী ব্যক্তি, বধির ব্যক্তি, বাহু বা পা নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।
(৯) প্রশ্ন- হালকা মোটরযান কাকে বলে?
উত্তর- যে মোটরযানের রেজিস্টিকৃত বোঝাই ওজন ২৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মটরজান বলে।
(১০) প্রশ্ন- মাঝারি মোটরযান কাকে বলে?
উত্তর- যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ২৭২৭ কেজির অধিক কিন্তু ৬৫৯০ কেজির অধিক নয়, তাকে মাঝারি মোটরযান বলে।
(১১) প্রশ্ন- ভারী মোটরযান কাকে বলে?
উত্তর- যে মোটরযানের রেজিস্টিকৃত বোঝাই ওজন ৬৫৯০ কেজির অধিক, তাকে ভারী মোটরযান বলে।
(১২)প্রশ্ন- প্রাইভেট সার্ভিস মটরযান কাকে বলে?
উত্তর- ড্রাইভার ব্যথিত আটজনের বেশি যাত্রী গ্রহণের উপযোগী যে মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে এবং বিনা ভাড়ায় যাত্রীবনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলেন।
(১৩)প্রশ্ন- ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন (চিহ্ন) প্রধানত কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর- ট্রাফিক সাইন প্রধানত তিন প্রকার- বাধ্যতামূলক-যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়
- সতর্কতামূলক-যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয়
- তথ্যমূলক-প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়
(১৪) প্রশ্ন- ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর- ট্রাফিক সিগন্যাল সাধারণত তিন প্রকার
- বাহুর সংকেত
- আলোর সংকেত
- শব্দ সংকেত
(১৫) প্রশ্ন- লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কি নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তর-
- লালবাতি জ্বললে গাড়িকে লাইনে থামিয়ে অপেক্ষা করতে হবে
- সবুজবাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে অগ্রসর হতে হবে
- হলুদবাতি জ্বললে গাড়িকে থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে
(১৬) প্রশ্ন- নিরাপদ দূরত্ব বলতে কি বুঝায়?
উত্তর- সামনের গাড়ি থেকে যে পরিমাণ দূরত্বে অবস্থান করলে সংঘর্ষ এড়িয়ে নিরাপদে পেছনের গাড়িকে থামানো যায় সেই পরিমাণ দূরত্বকে নিরাপদ দূরত্ব বলে।
(১৭) প্রশ্ন- লাল বৃত্তের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার লেখা থাকলে কি বুঝায়?
উত্তর- গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার অর্থাৎ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
(১৮) প্রশ্ন- নীল বৃত্তে ৫০ কিলোমিটার লেখা থাকলে কি বোঝায়?
উত্তর- সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার অর্থাৎ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
(১৯) প্রশ্ন- লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ন আঁকা থাকলে কি বুঝায়?
উত্তর- হর্ন বাজানো নিষেধ
(২০) প্রশ্ন- লালবৃত্তের ভিতর একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কি বোঝায়?
উত্তর- বড় বাস প্রবেশ নিষেধ
(২১) প্রশ্ন- লাল বৃত্তের মধ্যে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কি বোঝায়?
উত্তর- পথচারী পারাপার নিষেধ
(২২) প্রশ্ন- লাল ত্রিভুজের মধ্যে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কি বুঝায়?
উত্তর- সামনে পথচারী পারাপার, তাই সাবধান হতে হবে
(২৩) প্রশ্ন- লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কি বুঝায়?
উত্তর- ওভারটেকিং নিষেধ
(২৪) প্রশ্ন- আয়তক্ষেত্রে "P" লেখা থাকলে কি বুঝায়?
উত্তর- পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান
(২৫) প্রশ্ন- কোন কোন স্থানে গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ?
উত্তর- হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত এরূপ প্রতিষ্টান সমূহের চতুর্দিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত নিরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত, তাই তাই নীরব এলাকায় গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ।
(২৬) প্রশ্ন- কোন কোন স্থানে ওভার টেকিং নিষেধ?
উত্তর-
- ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এমন সাইন থাকলে
- সরু রাস্তা থাকলে
- হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়
(২৭) প্রশ্ন- কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ?
উত্তর-
- যেখানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড আছে এমন স্থানে
- কোন জংশনে
- ব্রিজ বা কালভার্ট এর উপর
- সরু রাস্তায়
- হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এলাকায়
- পাহাড়ের ঢালে বা ঢালু রাস্তায়
- পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে
- বাসস্টপে ও এর আশেপাশে
- রেলক্রসিং ও এর আশেপাশে
(২৮) প্রশ্ন- গাড়ির রাস্তার কোন পাশ দিয়ে চলাচল করবে?
উত্তর- গাড়ি রাস্তার বাম পাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে রাস্তায় একাধিক লেন রয়েছে সেখানে বাম পাশের লেনে ধীরগতির গাড়ি, আর ডান পাশের লেনে দ্রুত গতির গাড়ি চলাচল করবে।
(২৯) প্রশ্ন- রাস্তার পাশে সতর্কতামূলক <স্কুল/শিশু> সাইনবোর্ড থাকলে চালকের করণীয় কি?
উত্তর- গাড়ির গতি কমিয়ে রাস্তার দুপাশে ভালোভাবে দেখে শুনে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হওয়া
রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায় কোন শিশু থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
(৩০) প্রশ্ন- গাড়ির গতি কমানোর জন্য চালক হাত দিয়ে কিভাবে সংকেত দেবেন?
উত্তর- চালক তার ডান হাত গাড়ির জানালা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে নিচে উঠানামা করাতে থাকবেন।
(৩১) প্রশ্ন- লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর- লেভেল ক্রসিং দুই প্রকার
- রক্ষিত রেলক্রসিং যেটা পাহারাদার নিয়ন্ত্রিত
- অরক্ষিত রেলক্রসিং যেটা পাহারাদার বিহীন
(৩২) প্রশ্ন- গাড়ির পেছনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য কতক্ষণ পর পর লুকিং গ্লাস দেখতে হয়?
উত্তর- প্রতি মিনিটে ৬ থেকে ৮ বার
(৩৩) প্রশ্ন- জেব্রাক্রসিং এ চালকের কর্তব্য কি?
উত্তর- জেব্রা ক্রসিং এ পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রাক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন গাড়িকে অবশ্যই তার আগে থামতে হবে। জেব্রাক্রসিং এর উপর গাড়িকে থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।
(৩৪) প্রশ্ন- কোন কোন গাড়িকে ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে?
উত্তর- বেশি গতিতে চলা গাড়িকে, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি জরুরী সার্ভিস, ভিআইপি গাড়িকে।
(৩৫) প্রশ্ন- হেডলাইট ফ্লাশিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম কি?
উত্তর- শহরের মধ্যে সাধারণত ডিপার ব্যবহার করা হয়। রাতে কাছাকাছি গাড়ি না থাকলে বেশি দূর পর্যন্ত দেখার জন্য হাইওয়ে ও শহরের বাহিরের রাস্তায় আপার ব্যবহার করা হয়। তবে, বিপরীত দিক থেকে আগত গাড়ি ১৫০ মিটারের মধ্যে চলে আসলে ডিপার জ্বালাতে হবে।
(৩৬) প্রশ্ন- গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কি?
উত্তর- প্রথমে অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে, ম্যানুয়াল গিয়ারের গাড়ির ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে।
এই পদ্ধতিতে গাড়ি থামানো সম্ভব না হলে রাস্তায় আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত ও সুবিধামতো অন্য কিছুর সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে। ঠেকানোর সময় জার্মালের ক্ষতি যেন না হয় বা কম হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
(৩৭) প্রশ্ন- গাড়ির চাকা ফেটে গেলে করণীয় কি?
উত্তর- এ সময় গাড়ির চালককে স্টেয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং অ্যাক্সিলারেটর থেকে বা সরিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।
(৩৮) প্রশ্ন- গাড়িতে কি কি লাইট থাকে?
উত্তর- হেডলাইট, পার্কিং লাইট, ব্যাক লাইট, ইন্ডিকেটর লাইট, ফগ লাইট, নাম্বার প্লেট লাইট এবং ব্রেক লাইট।
(৩৯) প্রশ্ন- গাড়ির ড্যাশবোর্ডে কি কি ইন্সট্রুমেন্ট থাকে?
উত্তর-
- স্পিড মিটার
- অডো মিটার-তৈরির প্রথম থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার চলেছে তা দেখায়
- ট্রিপ মিটার-এ ট্রিপ এ গাড়ি কত কিলোমিটার চলে তা দেখায়
- টেম্পারেচার গেজ-ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায়
- ফুয়েল গেজ-গাড়ির তেলের পরিমাণ দেখায়
(৪০) প্রশ্ন- পাহাড়ি ও ঢালু রাস্তায় গাড়ি কোন গাড়ি চালাতে হয়?
উত্তর- ফাস্ট গিয়ার, কারণ ফাস্ট গিয়ারে গাড়ি চালানোর জন্য ইঞ্জিনিয়ার শক্তি বেশি প্রয়োজন হয়।
(৪১) প্রশ্ন- গাড়ির সামনে ও পিছনে লাল রঙের ইংরেজি L অক্ষরটি বড় আকারে লেখা থাকলে এর দ্বারা কি বুঝায়?
উত্তর- এটি একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভার চালিত গাড়ি।
(৪২) প্রশ্ন- ফোরহুইল ড্রাইভ গাড়ি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর- বিশেষ প্রয়োজনে যে গাড়ির চারটি চাকায় অর্থাৎ সামনে এবং পেছনের চাকায় পাওয়ার সরবরাহ করা যায়। তাকে ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ি বলে।
(৪৩) প্রশ্ন- ফুল হুইল ড্রাইভ কখন প্রয়োগ করতে হয়?
উত্তর- পিচ্ছিল, কাদাযুক্ত রাস্তায় চলার সময় চার চাকাতে ড্রাইভ দিতে হয়।
(৪৪) প্রশ্ন- টুলবক্স কি?
উত্তর- গাড়ির জরুরী মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল রাখার বক্সকে টুল বক্স বলে।
(৪৫) প্রশ্ন- গাড়ির রাস্তায় চালানোর সময় হঠাৎ ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে প্রথমে কি করতে হবে?
উত্তর- ফুয়েল বা জ্বালানি আছে কিনা চেক করতে হবে।
(৪৬) প্রশ্ন- ইঞ্জিন ওয়েল এর পরিমাণ কিসের সাহায্যে পরীক্ষা করা হয়?
উত্তর- ডিপস্টিক এর সাহায্যে
(৪৭) প্রশ্ন- কখন ক্লাচে চাপ দিতে হয়?
উত্তর- গিয়ার পরিবর্তন করার সময়
(৪৮) প্রশ্ন- ব্যাটারির কাজ কি?
উত্তর- ইঞ্জিনকে চালু করতে সহায়তা করা, সকল প্রকার লাইট জ্বালাতে এবং মিটার সমূহ চালাতে সহায়তা করা, হর্ন বাজাতে সাহায্য করা।
(৪৯) প্রশ্ন- নিয়মিত ব্যাটারির কি পরীক্ষা করা উচিত?
উত্তর- পানির লেভেল
(৫০) প্রশ্ন- ইঞ্জিন কাকে বলে?
উত্তর- ইঞ্জিন হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র যেখানে জ্বালানি বা ফুয়েলকে পুড়িয়ে রাসায়নিক শক্তিকে প্রথমে তাপশক্তিতে এবং তাপ শক্তিকে পড়ে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করাকে ইঞ্জিন বলে।
(৫১) প্রশ্ন- রেডিয়টরের কাজ কি?
উত্তর- রেডিয়টরের এর কাজ পানি ঠান্ডা করা
(৫২) প্রশ্ন- কুলিং ফ্যানের কাজ কি?
উত্তর- রেডিয়টরের গরম পানিতে ঠান্ডা করা
(৫৩) প্রশ্ন- ইঞ্জিন বেশি ঠান্ডা অবস্থায় চালানো ঠিক নয় কেন?
উত্তর- জ্বালানি খরচ বেড়ে যাবে, ইঞ্জিনের শক্তি অপচয় হবে
(৫৪) প্রশ্ন- ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হলে করণীয় কি?
উত্তর- প্রথমে ইঞ্জিন বন্ধ করে সুবিধা মত স্থানে গাড়ি পার্ক করতে হবে এবং বনেট খুলে ইঞ্জিন ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
(৫৫) প্রশ্ন- এয়ার ক্লিনারের কাজ কি?
উত্তর- বাতাসে যে সমস্ত ধূলিকণা থাকে তা পরিষ্কার করে বিশুদ্ধ বাতাস ইঞ্জিনের সরবরাহ করা।
(৫৬) প্রশ্ন- কার্বুরেটর এর কাজ কি?
উত্তর- ফুয়েল ও বাতাস কে নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশ্রণ করে ইঞ্জিনের সরবরাহ করা।
(৫৭) প্রশ্ন- কার্বুরেটর কোথায় থাকে?
উত্তর- এয়ার ক্লিনারের নিচে
(৫৮) প্রশ্ন- স্পার্ক প্লাগ কোথায় থাকে?
উত্তর- পেট্রোল ইঞ্জিনের সিলিন্ডারে
(৫৯) প্রশ্ন- কোন কোন ত্রুটির কারণে সাধারণত ইঞ্জিন স্টার্ট হয় না?
উত্তর-
- জ্বালানি না থাকলে
- ব্যাটারিতে চার্জ না থাকলে বা দুর্বল হলে
- জ্বালানি লাইনে বাতাস ঢুকে গেলে
- সেল্ফ স্টার্টার ঠিক মতো কাজ না করলে
- কার্বুরেটর ঠিকমতো কাজ না করলে
- ইগনিশন সিস্টেম ঠিক মত কাজ না করলে।
(৬০) প্রশ্ন- কি কি কারণে ইঞ্জিন চালু অবস্থায় বন্ধ হতে পারে?
উত্তর-
- জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে
- জ্বালানি লাইনে বাতাস ঢুকে গেলে
- স্পার্কপ্লাগ এ অতিরিক্ত তেল বা কার্বন জমা হলে
- এক্সিলেটর প্রয়োজনমতো না চেপে ক্লাস প্যাডেল ছেড়ে দিলে
- অতিরিক্ত বোঝা বহন করলে।
পরিশেষে
প্রিয় বন্ধুগণ আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বিআরটি এর ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন। আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন।
এ ধরনের নিয়মিত আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকুন। সবশেষে আমি আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url